• খোঁজ মিলেছে ৪টির, ‘অপারেশন দিল্লি’ চালাতে জঙ্গিদের নেটওয়ার্কে ছিল ৩২টি গাড়ি?
    এই সময় | ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে সন্ত্রাসের গভীর জাল। এ বার জঙ্গি নেটওয়ার্কে গাড়ির ব্যবহার নিয়ে বড় চক্রের হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, জঙ্গি মডিউলটি অন্তত ৩২টি গাড়ির নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গাড়ির ব্যবহার করার জন্যই এই গাড়ির ব্যবহারের ছক ছিল। মারুতির ব্রেজ়া, সুইফট ডিজ়ায়ার, ফোর্ড ইকোস্পোর্টের মতো গাড়ি রয়েছে এই তালিকায়। এগুলির মধ্যে বেশ কিছু গাড়ি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই ৩২টির মধ্যেই ছিল হুন্ডাই আই ২০-গাড়িটি, যেটি বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছে।

    পুলিশ সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত চারটি গাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, সে গুলি পুরোনো গাড়ি এবং একাধিকবার হাতবদল হয়েছে। সেই কারণেই ওই গাড়িগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বার বার হাতবদল হওয়ায় গাড়িগুলির বর্তমান মালিককে খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তদন্তকারীদের। এখনও পর্যন্ত যে চারটি গাড়িকে পাওয়া গিয়েছে, সে গুলি কোথায় কোথায় পাওয়া গিয়েছে?

    হরিয়ানার ফরিদাবাদে আব-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস থেকে মিলেছে এই গাড়িটি। এই মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি এই জঙ্গি মডিউলটি।

    দিল্লির নম্বরে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে এই গাড়িটির। বুধবার রাতে এই গাড়িটিকে হরিয়ানার ফরিদাবাদেই পাওয়া গিয়েছিল। এই গাড়ির পিছনের আসনে এক জন ঘুমোচ্ছিলেন। তাকে হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে।

    সোমবারই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সুইফট ডিজ়ায়ার গাড়িটিকে। এই গাড়ি থেকেই অ্যাসল্ট রাইফেল এবং বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছিল।

    এই গাড়িটি নিয়েই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। চালকের আসনে ছিল উমর মহম্মদ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক সন্দেহ, হাই-গ্রেড এক্সপ্লোসিভ ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল ব্যবহার করা হয়েছিল।

    তাহলে বাকি গাড়িগুলি কোথায় গেল? এত গাড়ি কারা এবং কী ভাবে জোগাড় করা হলো গাড়িগুলি? জঙ্গি নেটওয়ার্কের বাকিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চালাচ্ছে স্পেশাল এজেন্সি।

  • Link to this news (এই সময়)