• ঐতিহ্যবাহী পূর্বপল্লিতে পৌষমেলায় বাধা নেই, ছাড়পত্র মিলল পরিবেশ আদালতের
    প্রতিদিন | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • দেব গোস্বামী, বোলপুর: জাতীয় পরিবেশ আদালতের ছাড়পত্র নিয়েই ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ শান্তিনিকেতনে শুরু হতে চলেছে পৌষ উৎসব ও পৌষমেলা। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ঐতিহ্যবাহী পূর্বপল্লির মাঠে বসবে ৬ দিনের মেলা। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদ বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ, কর্মসচিব বিকাশ মুখোপাধ্যায়, জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ-সহ কর্মী পরিষদ, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানরা। পরিবেশ আদালতের বিধিনিষেধ ও স্টল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছেন আয়োজকরা।

    বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ জানিয়েছেন, “পৌষমেলা আয়োজন করতে প্রস্তুত। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের উদ্যোগেই পরিবেশ আদালতকে গুরুত্ব দিয়ে হতে চলেছে পৌষমেলার আয়োজন। পাশাপাশি ঐতিহ্য মেনেই পৌষ উৎসবও পালন করা হবে। ছ’দিনের মেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে স্টল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতি বছরই কড়াকড়ি করা হয়। এবার আরও কড়াকড়ি করা হবে৷”

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ স্বীকৃতি দেওয়ার পর এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের আয়োজনে হতে চলেছে দ্বিতীয় ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে পৌষমেলায় দূষণ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে দুটি মামলা করেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলার রায়ে আতসবাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ বন্ধ ছাড়াও মেলায় দূষণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক বিধিনিষেধ বেঁধে দেয় পরিবেশ আদালত। এদিনের বৈঠকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় পরিবেশ আদালতের যাবতীয় ছাড়পত্র নিয়েই সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ মেনেই পৌষমেলার আয়োজন করবে। আর পরিবেশ আদালতের ছাড়পত্র মিললেই পৌষমেলার যাবতীয় আয়োজন নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক বসবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

    তবে পৌষমেলার আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হওয়ায় খুশি হস্তশিল্পী থেকে ব্যবসায়ীরা। বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুনীল সিং ও কবিগুরু হস্তশিল্প সমিতির সম্পাদক আমিনুল হুদার কথায়, ”শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা আয়োজনে সদর্থক ভূমিকা পালন করায় আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ উপাচার্য মহাশয়কে। খুশি হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা।” শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সভাপতি কালিকাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পরিবেশ আদালতের ছাড়পত্র মান্যতা দিয়েই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে হতে চলেছে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। তাঁর যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)