হাতি দেখতে গিয়ে বিপদ মালবাজারে! ছররা গুলিতে আহত অন্তত ৯
প্রতিদিন | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
অরূপ বসাক, মালবাজার: চা বাগানে ঢুকে পড়া হাতি দেখতে গিয়ে বিপদ মালবাজারে। বৃহস্পতিবার রাতে মাল ব্লকের পশ্চিম ডামডিম এলাকায় বনদপ্তরের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত হলেন প্রায় আট থেকে নয়জন গ্রামবাসী। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওদলাবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এই ঘটনার পর বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকা। থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান বাসিন্দারা।
আহত সঞ্জয় রায় ও নোকুল গোপ অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শুধু হাতিটিকে দেখতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কোনও কিছু না জানিয়ে বনকর্মীরা আমাদের দিকে ছররা গুলি চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়। কারও হাতে, কারও পায়ে বা কপালে, পেটে গুলির আঘাত লাগে।” এলাকার বাসিন্দা সুরেশ কেরকাট্টা জানিয়েছেন, তাঁরা বনদপ্তরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন।
অন্যদিকে, বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই একটি বুনো হাতি পশ্চিম ডামডিম এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সকাল থেকে বনকর্মীরা হাতিটির গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন। বনদপ্তরের দাবি, বারবার গ্রামবাসীদের ওই এলাকা থেকে দূরে সরে যেতে বলা হলেও অনেকে কথা শোনেননি। সন্ধ্যার সময় হাতিটি যখন জনতার দিকে তেড়ে আসে, তখন চেল নদীর নিচ থেকে বাধের দিকে শূন্যে ছররা গুলি ছোঁড়া হয়। প্রশ্ন হল, শূন্যে গুলি ছোড়া হলে কীভাবে তা গ্রামবাসীদের শরীরে লাগে। তারঘেরা রেঞ্জার স্বপন কুমার রায় বলেন, “আমরা তিনটি গাড়িতে ১৫ জন কর্মী নিয়ে উপস্থিত ছিলাম। বহুবার অনুরোধ করেছি যাতে কেউ হাতির কাছে না যায়। কিন্তু কেউ শুনছিল না। হাতিটি যখন রেগে গিয়ে উন্মত্ত আচরণ করে, তখনই আমরা শূন্যে গুলি ছুড়ি। দুর্ভাগ্যবশত কয়েকজন আহত হয়েছেন।”
ঘটনার খবর পেয়ে মালবাজার থানার আইসি সৌম্যজিৎ মল্লিক পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান। তিনি আহতদের খোঁজখবর নেন ও পরবর্তীতে তাঁদের গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছে দেন। এই ঘটনার পর থেকে পশ্চিম ডামডিম এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।