• দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে জড়িত ৬! নয়া তথ্য পুলিশের হাতে, এখনও অধরা ৩
    প্রতিদিন | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ফারুক আলম, বিধাননগর: দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে জড়িত রয়েছে ৬ জন। ধৃতদের মুখোমুখি জেরা করে তথ্য জানতে চাইছে পুলিশ। এদিকে তৃণমূল ব্লক সভাপতি সজল সরকারকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর আদালত। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হলে সওয়াল জবাব শুনে বিচারক এই নির্দেশ দিয়েছেন।

    নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলা খুনে ৬জন যুক্ত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজগঞ্জের বিডিওর প্রশান্ত বর্মণের গাড়িচালক রাজু ঢালি ও তাঁর বন্ধু তুফান থাপাকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তৃতীয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে বুধবার শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। তাঁকে আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়। কিন্তু কেন গ্রেপ্তার করা হল এই তৃণমূল নেতাকে?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় ধৃত রাজু ঢালির ফোনে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করার ভিডিও রয়েছে। সেই ভিডিওতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সজল সরকারকে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিও পাওয়ার পরই সজলের মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ। ঘটনার দিন তাঁর মোবাইল ফোনের লোকশন নিউটাউনে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। ঘটনায় আর কারা, কারা যুক্ত রয়েছে তাদের খোঁজে বিধাননগরের গোয়েন্দারা।

    উল্লেখ্য, স্বপন কামিলাকে ২৮ অক্টোবর দোকান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তারপরই নিউটাউনের যাত্রাগাছির বাগজোলা খালপাড় এলাকার ঝোপ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ছবি দেখে পরিবার দেহ শনাক্ত করে। পরিবারের দাবি, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। এই ঘটনায় নাম জড়ায় রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। অভিযোগ, অপহরণ এবং খুনে পুরোপুরি যুক্ত বিডিও। সেই ঘটনায় তদন্ত নেমে বুধবার তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)