৫০ সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল দিল্লি বিস্ফোরণের আগে উমরের গতিবিধি
বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে আত্মঘাতী হামলাকারী ডা. উমর নবি কীভাবে এবং কখন রাজধানীতে ঢুকেছিল, তার গোটা তথ্য এবার পুলিশের হাতে। বিস্ফোরণের আগে উমরের শেষ ৪৮ ঘণ্টার গতিবিধি সিসি ক্যামেরা ফুটেজের সৌজন্যে জানতে পারে গিয়েছে। হরিয়ানা থেকে দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দিল্লি আসে সে। রবিবার রাতে উমর একটি ধাবায় দাঁড়ায়। সেখানে গাড়ির ভিতরেই ঘুমিয়ে রাত কাটায় সে। পরদিন সকালে ঢোকে দিল্লিতে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের আগে হরিয়ানার ফিরোজপুর ঝিকরায় গিয়েছিল উমর। পুলিশ সূত্রে খবর, ৫০টি সিসি ক্যামেরায় উমরের গতিবিধির ছবি ধরা পড়েছে। তা থেকে স্পষ্ট, পরিকল্পনামতো এগিয়েছে ঘাতক। সিসি ক্যামেরায় যতবার মুখ ধরা পড়েছে, কোনওবারই তার মধ্যে কোনও উদ্বেগ ধরা পড়েনি। পুলিস সূত্রে খবর, নজর এড়াতে দিল্লিতে আসার পথে বড় শহরে গাড়ি না থামিয়ে রাস্তার ধারে ছোটাখাটো খাবারের দোকানে ঢোকে সে। দিল্লি আসার পথে সে দু’বার গাড়ি দাঁড় করায়। একবার চা পানের জন্য, আর একবার মোবাইল দেখতে।
পুলিশ জানিয়েছে, বদরপুর দিয়ে উমর সোমবার সকালে দিল্লিতে ঢোকে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত শহরের নানা জায়গায় ঘোরাফেরা করে। তারমধ্যে রয়েছে ওখলা, শিল্পাঞ্চল, কন্নট প্লেস। তারপর বিকেল ৩টে ১৯ নাগাদ এসে লালকেল্লার পার্কিং লটে দাঁড়ায়। সোজা রাস্তা এড়িয়ে অপেক্ষাকৃত জনবহুল রাস্তায় সে গাড়ি চালিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, জনবহুল এলাকায় মানুষের আনাগোনা সম্পর্কে ধারণা পেতেই সে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে।
সিসি ক্যামেরায় তাকে দক্ষিণপূর্ব দিল্লি, পূর্ব দিল্লি ঘুরে তারপর সেন্ট্রাল দিল্লি ও উত্তর-পশ্চিম দিল্লির অশোক বিহারেও দেখা গিয়েছে। সেখানে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে ফের মধ্য দিল্লির দিকে রওনা দেয় সে। তারপর রামলীলা ময়দানের কাছে আসফ আলি রোডের একটি মসজিদে যায়। সেখান থেকেই লালকেল্লা পার্কিং লটে ঢুকে অন্তত তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে। তারপর ৬টা ২২ নাগাদ বেরিয়ে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের দিকে রওনা দেয়। ৬টা ৫২ নাগাদ গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ট্রাফিকের সিসি ক্যামেরা সেই বিস্ফোরণের ছবিও ধরা পড়ে।