বিশেষ সংবাদদাতা,শ্রীনগর: লালকেল্লা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে আরও এক চিকিৎসক। সে ধৃত চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠির দাদা মুজাফ্ফর। তদন্তকারীরা মনে করছেন, দিল্লি বিস্ফোরণে চিকিৎসক মেডিকেল টেরর মডিউলের বিদেশি যোগসূত্র ও অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী এই মুজাফ্ফর। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, পুলওয়ামার এই বাসিন্দা ভারতে মূল মডিউল ও তাদের পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করত। গত আগস্টে সে দুবাইয়ে চলে যায়। এখন আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে এই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কাজ চালাচ্ছে। তার হদিশ পেতে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে চাইছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস। সেজন্য ইন্টারপোলের সাহায্য চাইল তারা।
একইসঙ্গে দিল্লির নাশকতায় যুক্ত ডাঃ উমর উন নবি ও তার সহযোগীদের সঙ্গে তুরস্কের আঙ্কারায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা এক হ্যান্ডলারের যোগ মিলেছে। এনক্রিপটেড মেসেজিং অ্যাপ সেশন-এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে যোগাযোগ চলত। সূত্রের খবর, বিদেশি ওই হ্যান্ডলারের নাম ‘উকাসা’। যদিও এটি সাংকেতিক নাম। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আরবি ভাষার এই শব্দের অর্থ মাকড়সা। পরিচয় আড়াল আড়াল করে বিদেশে বসে থেকে নাশকতা, জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত ও মৌলবাদী কাজকর্মে মদত জোগাত উকাসা। ২০২২ সালে উকাসার সঙ্গে দেখা করতে ধৃত ডাঃ মুজাম্মেল সাকিলের সঙ্গে ইস্তানবুল গিয়েছিল মুজাফ্ফরও। তখনই অপারেশন ও ফান্ডিংয়ের রুটম্যাপ ঠিক করা হয়। অনুমান, সেখানেই লালকেল্লায় বিস্ফোরণের মতো একাধিক বড় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইকে জঙ্গি কার্যকলাপে টেনে আনতে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ভূমিকা পালন করেছিল মুজাফ্ফর। ভাইয়ের সঙ্গে উমর, মুজাম্মিল সাকিল ও মৌলবি ইরফানের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল সেই। একের পর এক সহযোগীর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে উমরকে দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিল মুজাফ্ফর। ছিল, পুলওয়ামার স্টাইলে নাশকতার নির্দেশ।