পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ডের স্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ধৃত শাহিনের
বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে জয়েশ-ই-মহম্মদের যোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদের যোগাযোগ ছিল আফিরা বিবির সঙ্গে। এই আফিরা বিবি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার (৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়) মাস্টারমাইন্ড তথা জয়েশ কমান্ডার উমর ফারুকের স্ত্রী। জয়েশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাগ্নে উমর ফারুক অপারেশন সিন্দুরের সময় ভারতের প্রত্যাঘাতে মারা যায়। পরবর্তীকালে মাসুদ আজহার জয়েশের মহিলা ব্রিগেড ‘জামাত-উল-মোমিনাত’ তৈরি করে নেতৃত্বভার তুলে দেন বোন সহিয়ার হাতে। দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারত বিরোধী সংগঠন ‘জামাত-উল-মোমিনাতে’র উপেদষ্টা কাউন্সিল বা শুরায় যোগ দেয় আফিরা। এবার দিল্লি বিস্ফোরণ তথা ফরিদাবাদ বিস্ফোরক উদ্ধার কাণ্ডে ধৃত আল-ফালাহের মহিলা চিকিৎসক শাহিনের সঙ্গে আফিরা বিবির যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। ভারতে ‘জামাত-উল-মোমিনাতে’র শাখা গড়ে তোলার দায়িত্ব পায় শাহিন। সেই সূত্রে আফিরার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
আল-ফালাহতে যোগ দেওয়ার আগে শাহিন ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কানপুরের একটি মেডিকেল কলেজে ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান ছিল। এই চিকিৎসকের পাসপোর্ট তথ্য বলছে, ২০১৬ সাল থেকে দু’বছর সে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ছিল। আল-ফালাহতে শাহিনের কাজকর্ম ছিল রহস্যে ঘেরা। তার সঙ্গে থাকত বিভিন্ন ধর্মীয় পুস্তক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহকর্মীদের দাবি, কাউকে কিছু না জানিয়ে হামেশাই কাজ থেকে উধাও হয়ে যেত শাহিন। কথা খুবই কম বলত। কিন্তু নিত্যদিনের কাজে এই গাফিলতি কেন? রহস্য বাড়িয়ে শাহিন বলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ তো চলতেই থাকবে। ‘আসল কাজ’ শুরু হয় বিকেল চারটেয় ছুটির পর। কী সেই কাজ? রহস্যের জট ছাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ধৃত এই মহিলা চিকিৎসকের হাজিরা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন তদন্তকারীরা।