• প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির ভূমিকাও স্ক্যানারে
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: শুধু আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, প্রতিষ্ঠাতা তথা ম্যানেজিং ট্রাস্টি জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। স্ক্যানারে সিদ্দিকির ‘বিশাল কর্পোরেট নেটওয়ার্ক’ এবং পুরোনো ফৌজদারি মামলা। সাড়ে সাত কোটি টাকা প্রতারণার সেই মামলায় তিন বছর জেল খাটতেও হয়েছিল তাঁকে।

    মধ্যপ্রদেশের মাউ জেলায় জন্ম সিদ্দিকির। মোট ন’টি সংস্থার ম্যানেডিং বোর্ডে তাঁর নাম রয়েছে। শিক্ষা, সফটওয়্যার, আর্থিক পরিষেবা ও বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এই ন’টি কোম্পানি আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মাধ্যমে সংযুক্ত। তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম দেখাশোনা করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রতিটি সংস্থার রেজিস্ট্রেশনের ঠিকানা একই। দিল্লির ওখলা এলাকায় জামিয়া নগরের আল-ফালাহ হাউস। এই ন’টি সংস্থার অধিকাংশই ২০১৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এরপর হয় বন্ধ হয়ে যায়, নয়তো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। তবে আল-ফালাহ মেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে, আদতে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে। ৭৮ একর জুড়ে গড়ে ওঠা এই ক্যাম্পাসই এখন ন্যাকের তদন্তের মুখে পড়েছে। বিতর্কের মধ্যেই এবার সিদ্দিকির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুরোনো মামলাটি ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    জানা যাচ্ছে, দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছিল। সিদ্দিকি ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মাধ্যমে টাকা তুলে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। বিনিয়োগকারীদের ফেরত না নিয়ে ৭.৫ কোটি টাকা ঘুরপথে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পাঠানোর ঘটনায় ২০০১ সালে সিদ্দিকি গ্রেফতার হন। ২০০৩ সালে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয়। বিনিয়োগকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তে ২০০৪ সালে মেলে জামিন। ২০২০ সালে সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ফের লগ্নিকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে। সেবার ওখলার দপ্তরে হানাও দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।     
  • Link to this news (বর্তমান)