সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: বেতনের দাবিতে ফের অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ঠিকাদার সংস্থার চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। হাসপাতালে দু’টি সংস্থার চুক্তিভিত্তিক কর্মী কাজ করছে। তারমধ্যেই বাইরের একটি কোম্পানি প্রতিমাসেই সময় মতো কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। চলতি মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত বেতন না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে সুপার স্পেশালিটি ব্লকের সামনে কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন।
এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সংগঠনের তরফে প্রতিমা চক্রবর্তী বলেন, প্রত্যেক মাসেই বেতন সময় মতো মেলে না। এই টাকার উপরেই আমাদের সংসার, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা চলে। তাই বেতনের দাবিতে আমরা পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছি।
ওই ঠিকাদার সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজার মিঠু সাহার অভিযোগ, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল কাম সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক সময় মতো বিলে সই না করায় বেতন দিতে দেরি হচ্ছে। যদিও অভিযোগ খারিজ করে দেন সঞ্জয় মল্লিক। তোপ দাগেন ওই সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে। বলেন, এখানে আরও একটি সংস্থার চুক্তিভিত্তিক কর্মী কাজ করছে। সেই সংস্থার মালিক অনিমেষ দাস হাসপাতালের বিল কবে পাবেন তার অপেক্ষায় থাকেন না। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি কর্মীদের বেতন দেন। ওই সংস্থার কাজকর্মে অনেক ত্রুটি রয়েছে। এনিয়ে আমি স্বাস্থ্যদপ্তরে জানাব।
পাল্টা অভিযোগে মিঠু সাহা বলেন, যে কাজের জন্য আমাদের কর্মী নেওয়া হয়েছে তাদের অনেককে দিয়ে সুপার স্পেশালিটির বাইরে অন্য কাজ করানো হচ্ছে। এতে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে কর্মী কমে যাচ্ছে। এখানকার পরিষেবা, পরিষ্কার পরিছন্নতা নিয়ে রোগী বা তাদের পরিবারের কোনও অভিযোগ নেই। হাসপাতাল সুপার পরিদর্শনে আসেন না বললেই চলে। তাহলে কীসের ভিত্তিতে তিনি বলছেন এখানে কাজ ঠিক মতো হয় না।
এই চাপানউতোরের মধ্যে কর্মীরা জানিয়ে দেন, আজ শুক্রবারের মধ্যে বেতন না পেলে গোটা হাসপাতালে পরিষেবা বন্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। তারপরেই মিঠু সাহা তাঁদের আশ্বস্ত করেন, শুক্রবারের মধ্যেই প্রত্যেকের বেতন হয়ে যাবে। এই আশ্বাসেই কর্মীরা বেলা ১টা নাগাদ অবস্থান প্রত্যাহার করেন। • নিজস্ব চিত্র।