বিজ্ঞান কংগ্রেসে উদ্ভাবনী মডেল দেখিয়ে তাক লাগাল ছাত্রছাত্রীরা
বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা মালদহ: আচমকা এক বিস্ফোরণ ঘটল দেশে। আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি শুরু করলেন সাধারণ মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি কমাতে প্রয়োজন এক সুরক্ষিত আশ্রয়। কীভাবে এমন এক সুরক্ষিত ভবন তৈরি করা সম্ভব, জ্যামিতি ব্যবহার করে তা দেখিয়ে দিল লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মহানন্দার দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ থেকে সাধারণ মানুষ। কীভাবে স্বল্প ব্যয়ে মোটরচালিত যন্ত্র নদীকে সাফসুতরো রাখতে পারে, তা হাতে কলমে দেখাল মহানন্দার তীরে থাকা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্ররা।
আগামীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। খুব কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কীভাবে শহরের সব প্রয়োজন মেটানো যেতে পারে? ব্যাখ্যা করে দেখাল রেলওয়ে হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। সব মিলিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত বিজ্ঞান কংগ্রেসের প্রথম দিনে এমন সব উদ্ভাবনী মডেল তাক লাগিয়ে দিয়েছে মন্ত্রী থেকে শিক্ষা দপ্তরের পদস্থ কর্তাদের।
বৃহস্পতিবার মালদহে শুরু হয়েছে দু’দিনের শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস। উদ্বোধনে অংশ নেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, শিক্ষা দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা দেবজ্যোতি বড়াল, মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী মেন্টর চৈতালি সরকার, ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস, বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক স্বামী তাপহরানন্দ প্রমুখ। ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা।
এই বিজ্ঞান কংগ্রেসের সংগঠকদের অন্যতম প্রধান শিক্ষক ওয়াসিমুল বারি বলেন, বিজ্ঞান মডেলের পাশাপাশি এদিন চার্ট তৈরির ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা দেখিয়েছে শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব। পেপার উপস্থাপন এবং মডেলের মাধ্যমে তা ব্যাখ্যা করে আগামীর বিজ্ঞান গবেষক তৈরির প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান অনুসন্ধিৎসু পড়ুয়াদের। প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞান চর্চা বিষয়ক তাৎক্ষণিক বক্তৃতায় ছাত্রছাত্রীরা চরক, সুশ্রুত, আর্যভট্টের মতো ব্যক্তিত্বদের উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছে, বিজ্ঞান গ্রহণ করতে শেখায়, বর্জন নয়। বিজ্ঞান কংগ্রেস থেকে এটাই শিক্ষা। ওয়াসিমুল বলেন, মালদহ শহরের পাঁচটি স্কুলে প্রায় এক হাজার পড়ুয়া এবং তিনশো জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এই বিজ্ঞান কংগ্রেসে অংশ নিয়েছেন। বিচারকের ভূমিকায় ছিলেন বিভিন্ন কলেজ ও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আধিকারিকরা। এদিন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পড়ুয়াদের সঙ্গে আড্ডাচ্ছলে বিজ্ঞান আলোচনায় মেতে ওঠেন যুগ্ম নির্দেশক (বিদ্যালয় শিক্ষা) দেবজ্যোতি বড়াল।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, আমরা ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে আশাতীত সাড়া পেয়েছি। কৃতী পড়ুয়াদের এদিন পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শন করছে ছাত্ররা।-নিজস্ব চিত্র