• দ্বিতীয় ধাপে জেলার ২ শতাংশ ভোটারের বাড়ি যাবেন বিএলওরা, তৃতীয় দফায় হদিশ না পেলে ‘আনকালেক্টবল’
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: প্রথমবার ভোটারের বাড়ি গিয়ে বিএলওরা কারও দেখা না পেলে আরও দু’ বার যেতে হবে। শুরুতেই পুরুলিয়ার জেলাশাসক কোন্থাম সুধীর বিএলওদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন। জেলাশাসকের নির্দেশ মোতাবেক বিএলওরা এবার সেই কাজ শুরু করতে চলেছেন। এক্ষেত্রে মোট ভোটারের ২ শতাংশ বাড়িতে ফের যেতে হবে বিএলওদের। দ্বিতীয় দফাতেও কারও হদিশ পাওয়া না গেলে ফের একবার বিএলওদের নির্দিষ্ট ভোটারের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। পরপর তিনবার গিয়েও ভোটার কিংবা তাঁর পরিবারের কারও হদিশ পাওয়া না গেলে অবশেষে বিএলও অ্যাপে ‘আনকালেক্টবল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। কমিশনের নির্দেশ মেনেই এই কাজ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। জেলাশাসক বলেন, এখনও পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ ইনিউমারেশন ফর্ম বিলির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি ২ শতাংশ ভোটারদের ক্ষেত্রে পুনরায় বিএলওরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। তৃতীয় দফাতেও কোনও হদিশ না পাওয়া পেলে কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক 'আনকালেক্টবল' বলে চিহ্নিত করা হবে। 

    কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক বিএলওরা শুরু থেকেই ইনিউমারেশন ফর্ম হাতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করেছিলেন। জেলার মোট ২৪ লক্ষ ২১ হাজার ৪৪২ ভোটারের বাড়ি ফর্ম বিলির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২৫২৯ জন বিএলও কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথম দিন থেকে বুধবার পর্যন্ত আনুমানিক ২৪ লক্ষ ভোটারের বাড়িতে ইনিউমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে। এবার ওই ৯৮ শতাংশ ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএলওরা পূরণ করা ইনিউমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করবেন। সেইসঙ্গে ভোটারের সমস্ত তথ্য যাচাই করে নির্দিষ্ট অ্যাপে আপলোড করার কাজও সারতে হবে। ফর্ম সংগ্রহের পর তথ্য আপলোডের এই কাজকে কমিশনের ভাষায় ‘ডিজিটাইজেশন অব ইনিউমারেশন ফর্ম’ বলা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই কাজে যাতে কোনও বিএলওকে সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয় সে জন্য ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে বিএলওদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও সেরে ফেলা হয়েছে। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মাত্র ২ শতাংশ ভোটারের হাতে এখনও পর্যন্ত ইনিউমারেশন ফর্ম তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। নির্দিষ্ট ওই ভোটাররা আদৌ জেলায় রয়েছেন, নাকি পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিন রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। এক্ষেত্রে তথ্য যাচাইয়ে জেলা প্রশাসন শ্রমদপ্তরের দ্বারস্থ হতে পারে। বিশেষ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট ভোটার বাস্তবেই পরিযায়ী শ্রমিক কি না, তা যাচাই করতেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সেইসঙ্গে এও জানার চেষ্টা করা হবে নির্দিষ্ট ওই ভোটার বর্তমান সময়ে কোন রাজ্যে কর্মরত রয়েছেন। তবে তার আগে অবশ্য প্রত্যেক বিএলও বাকি ২ শতাংশ ভোটারদের দুয়ারে আরও দু’ দফায় পৌঁছবেন। 

     বাড়ি বাড়ি এসআইআর-এর ফর্ম বিলি করছেন বিএলওরা। পুরুলিয়ায় বৃহস্পতিবার।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)