• সূতিতে ২৮ ভোটারের পিতার নাম স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজ, শোরগোল
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: ২৮ জন ভোটারের পিতার নাম একই— স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজ, ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সবাই যাঁকে জানে। এই ঘটনা সূতি ২ ব্লকের। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় এই অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা ব্লকে। সূতি ২ ব্লকের বিডিও হুমায়ূন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    ২০০২ সালের ৫১ অরঙ্গাবাদ বিধানসভার জগতাই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুর গ্রামে ভোটার তালিকায় ২৮ জন ভোটারের পিতার নাম একই। ভারত সেবাশ্রম সংঘের অরঙ্গাবাদ শাখা কার্যালয়ের স্বামী হিরন্ময়ানন্দ, স্বামী উৎপলানন্দ, স্বামী মঙ্গলানন্দ, স্বামী জীবনানন্দ, স্বামী রঘুনাথ, স্বামী কমল সহ ২৮ জন ব্যক্তির পিতার নাম হিসেবে লেখা রয়েছে স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওই ২৮ জনের প্রকৃত নাম কী এবং পিতা কে? ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় এই বুথের মোট ভোটার সংখ্যা ১০১০। নির্বাচকদের সিংহভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। উপরে উল্লিখিত ৯ জন স্বামী প্রণবানন্দের সন্তান ছাড়া সকলেরই এই এলাকাতেই বাড়িঘর, পরিবার-পরিজন রয়েছে। গত ২০০২ ভোটার তালিকায় নাম থাকা স্বামী উৎপলানন্দের বর্তমান ভোটার তালিকায় নামও রয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সূতি ৫৭ বিধানসভার অংশ নম্বর ১০৭ ও ক্রমিক নম্বর ৭০৩ নাম রয়েছে। গত বছরে তিনি আপডেট ও করেছেন বলে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে জানান হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, সাধারণত আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানগুলির সন্ন্যাসী, স্বেচ্ছাসেবক ও দীক্ষিতরা তাঁদের বাবার নাম হিসেবে প্রধান সন্ন্যাসীর নাম ব্যবহার করতে পারেন। এ নিয়ে আদালতের রায়ও আছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বিজেপির জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুবলচন্দ্র ঘোষ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। এটি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি, সেটি নির্বাচন কমিশনই বলতে পারবে। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সংসদ সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, একজনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়লে আন্দোলনে নামবে দল। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে দেশে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে ঢাল করে এসআইআর করছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)