দুবরাজপুর পুরসভার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে চলার বার্তা কেষ্টর
বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: দুবরাজপুর পুরসভার ৫০ বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে কোন্দলে জড়িয়েছিলেন পুরপ্রতিনিধিরা। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই ১১জন কাউন্সিলার নালিশ জানিয়েছিলেন কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডলের কাছে। অনুব্রতর হস্তক্ষেপে কোন্দল মিটেছিল। বৃহস্পতিবার সাড়ম্বরেই অনুষ্ঠানের সূচনা হল। উদ্বোধন করলেন সেই কেষ্টই। সেইসঙ্গে পুরপ্রতিনিধিদের তাঁর বার্তা, ‘ঝগড়াঝাটি নয়, একসঙ্গে চলুন। উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিতে হবে দুবরাজপুরে।’
গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে পুরপ্রতিনিধিদের কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। কাউন্সিলারদের একাংশের অভিযোগ ছিল, পুরসভার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠান থেকে তাঁদের পুরোপুরি ব্রাত্য রাখা হয়েছে। যা সিদ্ধান্ত তা কেবল চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে এবং ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা সৌকত আলি মিলেই নিচ্ছেন। সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পর লোক-মারফত সব সূচি তাঁরা জানতে পারছেন। এতে ‘অপমানিত’ হয়ে অনুব্রতর দ্বারস্থ হন কাউন্সিলাররা। দলের আহ্বায়ক সমস্ত পুরপ্রতিনিধিদের বোলপুরে পার্টি অফিসে ডেকে পাঠান। সেখানেই তিনি অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও পাঁচজন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারকে রেখে একটি সাত সদস্যের কমিটি তৈরি করে দেন। তাতে কোন্দলে পুরোপুরি রাশ না পড়লেও অনুব্রতর সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে সাহস দেখাননি কেউই।
বৃহস্পতিবার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তারপর একটি পদযাত্রা হয়। সন্ধ্যায় মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অনুব্রত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক, দলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
এদিন অনুব্রত বলেন, দুবরাজপুর পুরসভার উন্নয়নের জন্য সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি শহরের বাসিন্দাদের বলব, আপনারা যা পেয়েছেন এটা আপনাদের পাওনা। তৃণমূলের সঙ্গে থাকলে আপনারা আরও পাবেন।’ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানকে তাঁর বার্তা, দুবরাজপুরের সমস্ত ওয়ার্ড ভালো করে সাজিয়ে তুলুন। সুন্দর করে কাজ করুন। কোনও ঝগড়াঝাটি নয়। উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিন। তাহলেই দুবরাজপুরের মানুষ আপনাদের আশীর্বাদ করবে।
তবে, এদিনের অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহাকে। এনিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। অনুপ বলেন, বিধায়ককে না ডেকে ঘুরিয়ে শহরবাসীকেই অপমান করা হয়েছে। এই অপমানের বদলা মানুষই নেবে। যদিও পাল্টা চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে বলেন, শহরের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেননি বিধায়ক। সেকারণেই তাঁকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণের ব্যাপারে কেউ ভাবেননি।