নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: গ্রামের জল নিকাশির খাল বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে বুধবার বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকজন জমিমাফিয়া বেআইনিভাবে মাটি ফেলে খালটি বোজানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে প্রায় ৮০০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। ঘটনাটি হাড়োয়ার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা এলাকার।
হাড়োয়া বিধানসভার কেয়াডাঙা গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে খালটি। কেয়াডাঙা থেকে দিঘিরআটি, চাঁপাতলা সহ কয়েকটি গ্রামের জল নিকাশির অন্যতম মাধ্যম এই খাল, যেটি গিয়ে মিশেছে বিদ্যাধরী নদীতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খালের পাশে রয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর এক আত্মীয়ের জমি। ওই জমির পাশেই রয়েছে একটি ইটভাটা। সেটি এখন বন্ধ। বন্ধ ইটভাটার মাটি কিছু ব্যক্তির জমিতে রাখা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ হাসানুজ্জামানের মদতে কিছু জমি মাফিয়া সেই মাটি ফেলে খালটি বোজানোর চেষ্টা করছে। সেখানে পেট্রোল পাম্প করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের বলেই অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন চাঁপাতলার কেয়াডাঙাতে টাকি রোডে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্থানীয় কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, খালের পাশে প্রায় ৮০০ বিঘা জমিতে চাষ হয়। এটা বুজিয়ে দিলে জল নিকাশির সমস্যা হবে। আরেক বিক্ষোভকারী মহম্মদ আরিফ আলি বলেন, শুধু আমাদের নয়, আশেপাশের বেশ কিছু গ্রামেও জল নিকাশির সমস্যা হবে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, খালের পাশের একটি জমিতে গত চারবছর ধরে মাটি রাখা ছিল। মাটি দিয়ে জমিটি সমান করা হচ্ছে। যেহেতু জমিটি আমার আত্মীয়ের, তাই আমার নাম জড়িয়ে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। খাল বোজানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই প্রসঙ্গে চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী বলেন, আমরা জলাজমি, পুকুর, খাল ভরাটের বিরুদ্ধে। কেউ যদি এই কাজ করেন, তাহলে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র