• শীতের শুরুতেই মশার দৌরাত্ম্য শুরু বারাসতে, অতিষ্ঠ বাসিন্দারা
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: শীতকাল শুরু হতে না হতেই বারাসতে মশার উপদ্রব মাত্রাছাড়া। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মশার ঝাঁকে ছেয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট এমনকি অফিস এলাকাও। দুপুর তিনটে পার হলেই শহরের অলিতেগলিতে মশার ভনভন শব্দ। বাড়ির দরজা, জানালা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। বাড়ছে মশাবাহিত রোগের আশঙ্কাও।

    জেলার সদর শহর বারাসতে বাড়ছে জনসংখ্যা। পরিষেবা দিতে কার্যত হিমশিম অবস্থা পুরসভার। শহরের নানা এলাকায় ঘুরে দেখা গিয়েছে, প্রায় প্রতিটি গলিতেই নর্দমার জল জমে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে তৈরি হয়েছে মশার আঁতুরঘর। নিকাশি ব্যবস্থা একেবারেই বেহাল। অনেক জায়গায় নালা পরিষ্কার না হওয়ায় জল বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ। তার উপর বর্ষার পর থেকে কোথাও কোথাও নর্দমার জল পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বারাসতের হেলাবটতলা, চাঁপাডালি, যশোর, টাকি রোড মতো জনবহুল এলাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। নাগরিকদের অভিযোগ, ফগিং গাড়ি এখন আর দেখা যায় না। নিয়মিত নর্দমায় তেল দেওয়া বা মশানিধন কর্মসূচি বন্ধ। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জমে থাকা নর্দমার জলে মশার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বারাসতের গৃহবধূ বান্টি বসু বলেন, আগে শীত মানেই মশা কমে যেত। এখন উল্টো। শীত পড়লেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। বিকেল তিনটে থেকে জানালা বন্ধ না করলে ঘরে থাকা যায় না। ছোটো বাচ্চারা পড়তে পারে না, খাওয়া-দাওয়া করাও দুষ্কর। পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান এনিয়ে পদক্ষেপ নিক। একইকথা বলছেন বারাসতের কলোনি মোড়ের ব্যবসায়ী সুবীর দে। তাঁর কথায়, দুপুর হলেই দোকানে বসা যায় না। ধূপ, কয়েল সব একসঙ্গে জ্বালালেও মশার হাত থেকে রেহাই নেই। চিকিৎসক সুমিত সাহা বলেন, মূল সমস্যা নাগরিক অসচেতনতা। ঘরের আশপাশে পরিত্যক্ত বালতি, টব, ড্রাম বা টায়ারে জমে থাকা জল থেকেও মশা জন্ম নিতে পারে। তাই সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি সবে দায়িত্ব নিয়েছি। ইতিমধ্যেই সাফাই বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে, সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। সব ওয়ার্ডে বিশেষ অভিযান শুরু হবে। বাসিন্দাদের কাছে অনুরোধ, কয়েকটা দিন সময় দিন।

    এই সমস্যা শুধু বারাসত নয়। মধ্যমগ্রাম অশোকনগর থেকে বসিরহাট পুর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেই একই রকম।
  • Link to this news (বর্তমান)