• মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর শ্মশানে অকেজো বৈদ্যুতিক চুল্লি, অন্য একটি ১০ বছর ধরে বিকল, হেলদোল নেই প্রশাসনের
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: মঙ্গলবার থেকে বৈদ্যুতিক চুল্লি অকেজো। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা শবযাত্রীরা। আপাতত শ্মশানের কাঠের চুল্লিই তাঁদের ভরসা। আর তা না হলে ২৫ কিলোমিটার দূরে বারুইপুরের কীর্তনখোলা শ্মশানে যেতে হচ্ছে তাঁদের। এমনই চিত্র মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর মহাশ্মশানে। তবে মন্দিরবাজারের বিডিও তপনকুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নজরে আছে। দ্রুত চুল্লিটির মেরামত করা হবে।

    ২০১১ সালে দক্ষিণ বিষ্ণুপুর মহাশ্মশানে প্রথম বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপিত হয়। এরপরে ২০২২ সালে দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন হয়। এই শ্মশানের উপরে নির্ভরশীল শুধু মন্দিরবাজার নয়, রায়দিঘি, মথুরাপুর, জয়নগর থেকে পাথরপ্রতিমা এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মাসে প্রায় ২৬৬টি শবদেহ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দাহ করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে চারটি দেহ দাহ করার পরেই চুল্লির চারটি হিটার কয়েল পুড়ে যায়। সেই থেকে বন্ধ চুল্লিটি। অন্যদিকে আর একটি চুল্লি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে।

    শ্মশানযাত্রীরা বলেন, চুল্লি খারাপ হয়ে থাকলেও কোনও নজরদারি নেই। মাঝেমধ্যেই এই চুল্লিটি খারাপ হয়ে পড়ে থাকে। আরও একটি চুল্লিও স্থায়ীভাবে খারাপ। কীভাবে সেটির মেরামত করা যায়, সেদিকেও কারও নজর নেই। তাঁদের আরও অভিযোগ, কাঠের চুল্লিতে দাহ অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। অনেক সময়ও লাগে। বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দাহ করার জন্য বাড়তি পয়সা খরচ করে ২৫ কিলোমিটার দূরে বারুইপুরের কীর্তনখোলা শ্মশানে যেতে 

    হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)