রাঘোপুর আসন থেকে দাঁড়িয়েছেন মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। গণনা শুরুর আধ ঘণ্টা পরে, প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে এই আসন থেকে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন। আলিনগর থেকে এগিয়ে এনডিএ প্রার্থী মৈথিলী ঠাকুর। শেষ পাওয়া খবর অনুুযায়ী, সার্বিক ভাবে ৩৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ শিবির, ২৫টিতে মহাগঠবন্ধন।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে গণনা। আপাতত পোস্টাল ব্যালটের গণনা চলছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত ৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে NDA শিবির। ৭টি আসনে মহাগঠবন্ধন। লড়াই হচ্ছে জোরদার।
‘আমরাই সরকার গড়ছি।’ শুক্রবার ফলপ্রকাশের আগে আত্মবিশ্বাসী তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, ‘পরিবর্তন হচ্ছেই। সবাইকে ধন্যবাদ।’ মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রীর এমন দাবির পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র অজয় আলোক বলে দিলেন, ‘এনডিএ যে সরকার গড়বে, সেটা বিরোধীরাও জানে।’
সব পূর্বাভাসই NDA শিবিরকে এগিয়ে রেখেছে। জয়ের মেজাজে রয়েছে বিজেপিও। ৫০০ কেজি লাড্ডু আর ৫ লাখ রসগোল্লার অর্ডার দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এখন শুধু ফলপ্রকাশের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ হাসি কি NDA শিবিরই হাসবে? জানা যাবে বিকেলের মধ্যেই।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে গণনা। প্রথমে ব্যালট, তার পরে ইভিএম। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ২,৬১৬ জন প্রার্থীর। ২৪৩ আসনে নির্বাচন হয়েছে। ১২২ ম্যাজিক ফিগার। প্রায় সবক’টি বুথফেরত সমীক্ষাই মহাগঠবন্ধনের তুলনায় NDA শিবিরকে এগিয়ে রেখেছে। তবে সব পূর্বাভাস যে মেলে না, তার একাধিক উদাহরণ নির্বাচনী ইতিহাসেই রয়েছে।
হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের মঞ্চ হয়ে উঠেছে বিহার। নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ জোট ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে? নাকি কুর্সির দখল নেবে তেজস্বী যাদবের মহাগঠবন্ধন? জানা যাবে আজ।
৬ ও ১১ নভেম্বর দুই দফায় ৩৮ জেলায় ২৪৩ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আজ ১৪ নভেম্বর, ফলপ্রকাশ। ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় ১২১টি আসনে ভোট পড়েছিল ৬৫.০৮ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বর ১২২টি আসনে ভোটদানের হার ছিল ৬৮.৭৮ শতাংশ। অর্থাৎ দুই দফায় গড়ে ৬৭.১৩ শতাংশ হারে ভোট পড়েছে, যা ১৯৫১ সালের পর সর্বোচ্চ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একংশ মনে করছেন, ভোটদানের এই হার পালাবদল ইঙ্গিত দিচ্ছে। রহস্য বাড়াচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টিও। তারাই কি নতুন বিকল্প হিসাবে উঠে আসবে? সেই প্রশ্নেরও উত্তর জানা যাবে বিকেলের মধ্যেই।