• ‘ক্লাসে ঢুকেই ছাত্রছাত্রীদের আলাদা বসতে বলতেন’, উমরের ‘তালিবানি’ স্টাইল নিয়ে সরব আল ফালাহর পড়ুয়ারা
    এই সময় | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • উমর উন নবি ছিল বইপোকা। চুপচাপ থাকত, বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তাঁর বৌদি মুজামিল। কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে-র একটি স্টিং অপারেশনে আল ফালাহ ইউনিভার্সিটিতে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা বললেন উল্টো কথা। তাঁদের দাবি, তালিবানি কায়দায় ক্লাস নিতেন উমর। ছাত্রছাত্রীদের আলাদা বসার ব্যবস্থা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

    উমর ছিলেন আল ফালাহ ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। ফরিদাবাদে বিস্ফোরণ উদ্ধারের ঘটনায় মুজাম্মিল আহমেদ, উমর মহম্মদ এবং শাহিন শহিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিন জনই এই মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল উমরের। দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই থেকেই আতশকাচের তলায় চলে এসেছে এই কলেজ।

    জেরাতে শাহিন জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে প্রায়ই কথা হতো উমরের। ছাত্রছাত্রীরাও জানাচ্ছেন সেই কথাই। তবে উমরকে মোটেই চুপচাপ বলতে নারাজ তাঁরা। ইন্ডিয়া টুডে-কে এক ছাত্র বললেন, ‘আমরা একসঙ্গে বসি। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই। কিন্তু উমর স্যরের ক্লাসে তিনি আমাদের আলাদা করে দিতেন। ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে বসা মোটেই পছন্দ করতেন না।’

    ফরিদাবাদ কাণ্ডে গ্রেপ্তার মুজাম্মিল আহমেদ এই ইউনিভার্সিটিরই প্রফেসর। কিন্তু তিনি কোনও দিন ক্লাস নিতেন না বলেই দাবি পড়ুয়াদের। এক ছাত্র বললেন, ‘মুজাম্মিল স্যর কোনও দিন আমাদের ক্লাস নেননি। তাঁকে দেখিনি কোনওদিন। তবে নাম শুনেছি।’ তবে উমরের সঙ্গেই ছাত্রছাত্রীদের যোগাযোগ ছিল বেশি। এক এমবিবিএস পড়ুয়া বললেন, ‘উমর স্যর এই হস্টেলেই থাকতেন।’ হাত তুলে দেখালেন সেই হস্টেল। তবে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত i20 গাড়িটি তাঁরা কোনও দিন দেখেননি বলেই দাবি পড়ুয়াদের।

    দিল্লি বিস্ফোরণের পর চার দিন কেটে গিয়েছে। উমর উন নবিই যে আসল ‘কালপ্রিট’, সেই বিষয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। সেই ছিল সুইসাইড বম্বার। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত i20 গাড়ি চালাচ্ছিল সেই। ডিএনএ টেস্টেও তার প্রমাণ মিলেছে। এ বার সামনে এলো উমরের ‘তালিবানি’ মানসিকতার কথাও। আল ফালাহ ইউনিভার্সিটি থেকেই তিনি সন্ত্রাসের ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।

    তবে বিস্ফোরণের পরে আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়েও অসন্তুষ্ট তাঁরা। এক ছাত্র বললেন, ‘সুযোগসুবিধা নেই বললেই চলে। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসও সময় মতো হয় না।’ এই নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই।

  • Link to this news (এই সময়)