• বাড়ির কিছুটা দূরেই পুকুরে ভাসছে এক যুবকের দেহ! দৃশ্য দেখে চমকে উঠলেন স্থানীয়রা
    বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর আজ, শুক্রবার সকালে কাটোয়া শহরের একটি পুকুর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম কার্তিক মাঝি (৩০)। তাঁর বাড়ি কাটোয়া শহরের ভূতনাথতলা এলাকায়। পরিবারের দাবি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিক কাটোয়া শহরের একটি ওষুধের দোকানে কাজ করত। তাঁর বাড়ি শহরের ভূতনাথতলা এলাকায়।  বাবা অনিল বাবু শহরের একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। ছোটো ভাইও সোনার দোকানে কাজ করতেন। এদিন বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই একটি পুকুরে কার্তিকের দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপরেই কাটোয়া থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। গত বুধবার তিনি বাড়িতেই ছিলেন। মা অঞ্জলি দেবী বলেন, আমার ছেলে বাড়িতেই ছিল। সেই সময়ে তাঁকে ফোন করে ওর কয়েকজন বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি। গতকাল, বৃহস্পতিবার আমরা থানায় একটি মিসিং ডায়েরিও করেছিলাম। তারপরেই এদিন সকালে ওর দেহ পুকুরে পাওয়া গেল। ওকে খুন করা হয়েছে। কারণ আমার ছেলে প্রায় দু’লক্ষ টাকা ওর কয়েকজন বন্ধুকে ধার দিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত চাওয়াতেই খুন কিনা বুঝতে পারছি না। এদিন পুলিশ কার্তিকের দেহ উদ্ধার করে। দেহটির দুই পায়েই সাদা রঙের জুতো ছিল। দুই পায়ের দুটি জুতোর দড়ি একসঙ্গে বাঁধা ছিল। এদিন মৃতের কাকা বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওকে কেউ খুন করেছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর কার্তিকের বিয়ের ঠিক হয়েছিল মঙ্গলকোটের কুড়ুম্বা গ্রামের এক যুবতীর সঙ্গে।কার্তিকের মৃত্যু নিয়ে তাঁর পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন আমরা খুনের অভিযোগ জানাব। কারণ তাঁর মোবাইলটিও পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল উদ্ধার হলেই সব রহস্যের উন্মোচন ঘটবে, দাবি পরিবারের।  
  • Link to this news (বর্তমান)