• আজ বিকালেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়...জামিনে মুক্ত 'দুর্নীতিগ্রস্ত' বিধায়ককে নিয়ে কী ভাবছে তৃণমূল?
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • শ্রেয়সী গাঙ্গুলি: জেলমুক্তির পর আজ, শুক্রবারই ফের দলীয় কার্যালয়ে বসার সম্ভাবনা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। আজ বিকেলে বেহালার বিধায়ক কার্যালয়ে বসতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই নিজের এলাকায় তাঁর শিক্ষা দুর্নীতির প্রশ্নে প্রমাণ চেয়ে ও কৈফিয়ত দিয়ে লিফলেট বিলি শুরু করেছেন তিনি। যার নাম দিয়েছেন 'দুয়ারে বিধায়ক'। মানুষের কাছে উত্তর চেয়েছেন তিনি। যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়ে ৫ বারের বিধায়ক বানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে উত্তর চেয়েছেন তিনি। তবে দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এখনও নীরব এবং নিষ্ক্রিয়। তৃণমূল (TMC) সূত্রে খবর, যেহেতু গোটা বিষয়টি বিচারাধীন এবং এখনও তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হননি, তাই তাঁকে নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নয়। 

    প্রসঙ্গত, ইডির গ্রেফতারির পরই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করে দল। খোয়া যায় মন্ত্রিত্বও। তবে মন্ত্রিত্ব খোয়ালেও এখনও বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই বিধানসভায় যেতে তাঁর কোনও বাধা নেই। পাশাপাশি, তাঁর মুক্তি দিন-ই 'বেহালা পশ্চিমে আবার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কেই চাই' স্লোগান লেখা পোস্টার-প্ল্যাকার্ড নিয়েও ভিড় করেন অনুগামীরা। ৩ বছর ৩ মাস ১৯ দিন পর মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, জামিনে মুক্তি ঘটেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। আর মুক্তির পরই 'দুয়ারে বিধায়ক'! বেহালা পশ্চিমের বিভিন্ন বাড়ি বাড়িতে 'দুয়ারে বিধায়ক' হ্যান্ডবিল বিলি করেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই করা সেই হ্যান্ডবিলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমর্থনে বেশ কিছু বক্তব্যের পাশাপাশি রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তাঁর বিধানসভা এলাকার মানুষদের কাছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের প্রশ্ন।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই করা সেই হ্যান্ডবিলে তাঁর 'সোজা সাপ্টা' প্রশ্ন, 'চাকরির বদলে আমি কি কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছি? আসুন আমার কাছে যথাযোগ্য প্রমাণ নিয়ে, কে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন আমার হাতে? কারা আমার নাম করে টাকা নিয়েছে, এমন কেউ যদি থাকেন, তাদের নাম আমাকে জানান। আমি ব্যবস্থা নেবই।' এলাকাবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা শিক্ষা দুর্নীতির অভিযোগের যথাযথ প্রমাণ নিয়ে এসে তাঁর কার্যালয়ে 'জনবাক্স'-এ জমা দেওয়ার জন্য। হ্যান্ডবিলে এটাও স্পষ্ট লেখা যে, তাঁর সুদীর্ঘ চাকরি ও রাজনৈতিক জীবনে কেউ কোনওদিন তাঁর 'সততা' নিয়ে প্রশ্ন করেনি। মানুষ-ই তাঁকে ২০০১ সাল থেকে টানা ৫ বার বিধায়ক বানিয়েছে। তাই মানুষের কাছে তিনি 'দায়বদ্ধ'। একইসঙ্গে ওই হ্যান্ডবিলে লেখা,'মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে আগেও ছিলাম, এখনও অটুট। তবে উত্তর চাই-ই-চাই।'

    প্রসঙ্গত,  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) আদালত জামিনে মুক্তি ঘোষণার পর, ১১ নভেম্বর, মঙ্গলবার দুপুরে বাইপাসের ধারে হাসপাতাল থেকে বেরন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০২২-এর জুলাইতে এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রথমে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করে শিক্ষা দুর্নীতি মামলায়।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)