রমেন দাস: বিধানসভা নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে বিহারে রীতিমতো গেরুয়া ঝড়! এখন পর্যন্ত ১৬১ টি আসনে এগিয়ে এনডিএ, অনেকটা পিছিয়ে মহাগটবন্ধন। ফলাফলে খুব বড় রদবদল না ঘটলে বিহারে ফের ক্ষমতায় আসছে এনডিএ জোট। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত পদ্মশিবির। বিহারের ফল কার্যত স্পষ্ট হতেই বাংলা দখলের হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন তিনি। আত্মবিশ্বাসের সুরে বললেন, “বিহারের পর এবার বাংলার পালা।” যদিও এসবকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, “বাংলায় শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা।”
বাংলা দখলে গত কয়েকবছর ধরে মরিয়া লড়াই করছে বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভায় বাংলায় দু’শোর বেশি আসন জিতবে বলে আত্মবিশ্বাসী ছিল পদ্মশিবির। ভোট প্রচারে মোদি-শাহের মুখে বারবার শোনা গিয়েছিল সেকথাই। যদিও তা বাস্তবায়িত হয়নি। দু’শো তো দূর-অস্ত, বাংলায় একশো আসনের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ছাব্বিশে শাসকদলকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও রাজি নয় বঙ্গ বিজেপি। তবে বিজেপির পক্ষে আদৌ বাংলায় আধিপত্য স্থাপন সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয়ে দলের নেতারাও। এসবের মাঝেই বিহারের এই ট্রেন্ড যে বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুক্রবার বিহারের ফলাফল স্পষ্ট হতেই বাংলা দখলের ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, “আমরা বাংলাতেও জিতব। ওখানকার বর্তমান সরকার বাইরের শক্তির মদতে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ এ বার সত্যটা বুঝতে পারবেন।”
কার্যত একই সুর বঙ্গ বিজেপির নেতাদের গলায়। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “বিহারে এসআইআর না হলেও বিজেপি সাফল্যের সঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে আগে। এর কারণ, উন্নয়ন, ভয়মুক্ত বিহার ও ভোটার লিস্ট শুদ্ধিকরণ। তৃণমূল বলছে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। সেটা কী করে সম্ভব? আসলে ওদের চিন্তা বাংলাদেশি, রোহিঙ্গাদের নিয়ে। ওরা জানে এদের নাম বাদ গেলে ওরা খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে।” বিহারের ফলাফল কী হতে চলেছে, তা মোটামুটিভাবে স্পষ্ট হতেই এক্সহ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নীতীশ কুমারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিহারের ফল যে বাংলায় লড়াইয়ের বাড়তি শক্তি জোগাবে, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।