মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের নিমগ্রামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ তল্লাশি চালিয়েছিল বুধবার। ওই দিনেই অভিযান চলে কোচবিহারের দিনহাটায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংগগ্ন গ্রামে হানা দিল তিন সদস্যের দল।
দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের গোবরাছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দিনা গ্রামে অভিযানে এসেছিলেন তদন্তকারীরা। ২০২৩ সালের একটি মামলার সূত্র ধরে স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেনের বাড়িতে চলে তল্লাশি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল সেটি আরিফের স্বশুরবাড়ি। অভিযানের সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন শ্বশুর, শাশুড়ি, স্ত্রী ও শ্যালক। জামাইকে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে শাশুড়ি সায়রা বিবি বলেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে আরিফের বিয়ে হয়। আরিফকে বাড়ির পিছন দিক দিয়ে যেতে সাহায্য করেছি। ও বাংলাদেশের নাগরিক।’’
পলাতকের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, তদন্তকারীরা আরিফের সমস্ত নথি ও ব্যাংকের পাসবই দেখেছেন। বাড়িতে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়ারহাট বাজারে কাপড়ের দোকান রয়েছে আরিফের। তার আগে তিনি যুক্ত ছিলেন ঠিকাদারির কাজে। আরও জানা গিয়েছে, একটি মোবাইল-সহ দু’টি সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পলাতকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ-সহ সন্ত্রাসমূলক কাজে যুক্ত থাকা ও তাতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই জানান, আরিফ এর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের পুরনো একটি কেস রয়েছে। তারই তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা এসেছিলেন।