বিরোধীদের ভুল প্রমাণ করে বিহারে ম্যাজিক দেখালেন ‘সুশাসনবাবু’ নীতীশ! বোঝালেন ‘টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়’
বর্তমান | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
পাটনা, ১৪ নভেম্বর: বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছেন, ভুল বকছে, শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত। এইসবই বেশ কয়েকদিন শুনতে হয়েছে নীতীশ কুমারকে। বিরোধীরা লাগাতার খোঁচা দিয়েছেন নীতীশকে, বিজেপির কাছে নিজেকে সঁপে দেওয়ার জন্য। কটাক্ষ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর, আর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না নীতীশবাবু এই বলে। সেইসব কটাক্ষের জবাব একসঙ্গে দিয়েছেন জেডিইউ প্রধান। সকলকে চমকে গতবারের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ভালো ফল করে ফের সরকার গড়তে চলেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে বিজেপি, এলজেপি (রামবিলাস) সহ এনডিএ শরিকরা। নীতীশ বুঝিয়ে দিয়েছেন বিহারের জনমানস তাঁকেই চায়। ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন কিনা সেটা সময় বলবে।বিরোধীদের এক বড় জবাব দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা। পাটলিপুত্রের রাজনীতিতে ‘সুশাসনবাবু’ নামে পরিচিত নীতীশেই আস্থা রেখেছে জনগণ। আজ, শুক্রবার বেলা গড়াতেই পাটনার আশেপাশে নীতীশ কুমারের ও বাঘের ছবি দিয়ে পোস্টার দিতে থাকেন জেডিইউ নেতারা। তাতে লেখা ছিল একটাই কথা, ‘টাইগার আভি জিন্দা হ্যায়।’ অর্থাৎ নীতীশ কুমার বাঘ। সে বুড়ো হলেও বিহারের রাজনীতিতে এখনও বহাল তবিয়তে জীবীত। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ১০১টিতে প্রার্থী দিয়েছিল নীতীশের দল জেডিইউ। যার মধ্যে ৪টিতে জয়ী ও ৮০টিতে এগিয়ে রয়েছে তাঁর দলের প্রার্থীরা (দুপুর ৩টের ট্রেন্ড)। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ৩৬টি আসন বেশি এসেছে নীতীশের ঝুলিতে। কিন্তু কেন এত অভাবনীয় ফল জেডিইউ-এর?বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে এনডিএতে যোগ দিয়েই বিহারে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছেন নীতীশ। তাঁর এনডিএ-তে অবস্থানের ফলে কেন্দ্রীয় সরকার বিহারকে বিগত দু’বছরে সবচেয়ে বেশি প্রকল্প, আর্থিক সুবিধা- সাহায্য ও বাজেটে বরাদ্দ বেশি দিয়েছে। যা ভালো চোখেই দেখেছেন বিহারের মানুষ। সঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা, বিভিন্ন পেনশনে আর্থিক সাহায্য বৃদ্ধি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। যা তাঁর দিকেই ভোট টানতে সাহায্য করেছে। সর্বোপরি মহিলা ভোটব্যাঙ্ক ও বিহারের ‘জঙ্গলরাজ’ অবসান ঘটাতে পেরেছেন নীতীশই, এমনটাই বিশ্বাস সাধারণ মানুষের। তাই আজ, বিরোধীদের চুপ করিয়ে, পিকেকে ভুল প্রমাণ করে বিহারে ফের রাজ করতে চলেছেন ‘সুশাসনবাবু’ নীতীশ। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।