• লিস্টে নাম নেই একই পাড়ার ১৪০০ মানুষের! SIR আতঙ্কে ঘুম উড়েছে পাটুলির...
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • অয়ন ঘোষাল:  মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের সময় রাতারাতি উচ্ছেদ। পরে বৈষ্ণব ঘাটা এলাকায় বাল্মীকি আম্বেদকর আবাস যোজনার স্থায়ী বাড়ি এবং ভোটার কার্ড পেলেও ২০০২ সালের তালিকায় নাম না থাকায় চরম আতঙ্কে খাস কলকাতার ১৪০০ ভোটার।(Patuli slum voters are not in list) 

    ২০১০ সালে ব্লু লাইন মেট্রো সম্প্রসারণ হয়। এই কাজের জন্য ২০০১ সাল থেকে আদি গঙ্গা অর্থাৎ টালি নালা লাগোয়া দুইপাশের এলাকায় উচ্ছেদ শুরু করে সরকার। সেইসময় মোট ৪৮১ টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময় এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩০০ পরিবার, যারা উচ্ছেদের আগে ঢাকুরিয়া বিধানসভা (যা পরবর্তী সময় টালিগঞ্জ বিধানসভা হয়েছে) সেখানকার ভোটার ছিলেন। উচ্ছেদের পর টানা ৪ বছর তারা মাথার ওপর একটা ছাদ বা স্থায়ী বাসস্থানের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। 

    ২০০৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তদানীন্তন রাজ্য সরকার এদের মধ্যে ২৫৮ টি পরিবারকে বৈষ্ণবঘাটা ফায়ার ব্রিগেডের কাছে বাল্মীকি আম্বেদকর যোজনায় আবাসনের একটি করে ফ্ল্যাট দেয়। পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে বাকি সমস্ত পরিবারকে আনন্দপুর থানা এলাকায় চিনা মন্দিরের কাছে বাল্মীকি আম্বেদকর আবাস যোজনার ফেজ ২ এর ফ্ল্যাট দেওয়া হয়।

    বিগত ২০ বছর (২০০৫ থেকে ২০২৫) তারা এখানেই আছেন। সকলের ভোটার কার্ড আছে। এরা সকলে যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। বিগত লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার হিসেবে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সমস্যা হল, ২০০২ সালে এরা প্রত্যেকে নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ছিল। ফলে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় এরা কোথাকার ভোটার তা নির্দিষ্ট না হওয়ায় এবং এদের আদি বাসস্থান অর্থাৎ টালি নালা কলোনি সেইসময় সরকারি খাতায় কলমে ভ্যাকেট ল্যান্ড ঘোষিত হওয়ায় কারও নাম নেই। 

    তাহলে কি আবার নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণের লড়াই? সবার নাম কি বাদ চলে যাবে সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে? খাস কলকাতার বুকে SIR আতঙ্কে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন এই মানুষগুলো। 

    এদিকে আজই, মেয়ের নামে আসেনি এনুমারেশন ফর্মে (Enumeration Form)। গভীর চিন্তায় ছিলেন বাবা। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পাশের গাছ থেকে সেই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ‌রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ির ঘটনা। এসআইআর আবহে ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ‌খবর পেয়ে শোকাহত ওই বাড়িতে ছুটে আসেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তুষার কান্তি দত্ত, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সমিজুদ্দিন আহমেদ সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা। 

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)