জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গে কবে শেষ এসআইআর (SIR)? ভোটার তালিকার এই নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া (Special Intensive Revision) এ রাজ্যে শেষ হচ্ছে আজ, শুক্রবার। নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India/ECI) প্রায় শেষ করে ফেলেছে কাজ, ৭০ লক্ষ ফর্ম বিলি বাকি।
বাংলায় 'SIR'
গণনা ফর্ম বিতরণের বর্ধিত সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ। নির্বাচন কমিশনের এই বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর জন্য গণনা ফর্ম বিতরণের বর্ধিত সময়সীমা শুক্রবার (১৪ই নভেম্বর) শেষ হচ্ছে। এবং জানা গিয়েছে, এখনও প্রায় ৭০ লক্ষ ফর্ম বিতরণ বাকি রয়েছে।
কী হবে সেই ৭০ লক্ষের?
কোনও চিন্তা নেই। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরা আত্মবিশ্বাসী যে, ৪ নভেম্বর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে দৈনিক ফর্ম বিতরণের গড় হার অনুযায়ী, বর্ধিত সময়সীমার শেষ দিনে বাকি থাকা ৭০ লক্ষ ফর্ম সহজেই বিতরণ করা সম্পূর্ণ হবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত এ রাজ্যে মোট ৬.৯৮ কোটি (৯১.১৯ শতাংশ) গণনা ফর্ম বিতরণ করা হয়েছে। ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটারের সংখ্যা ৭,৬৬,৩৭,৫২৯ জন।
১১ থেকে ১৪
ফর্ম বিতরণের প্রাথমিক সময়সীমা ১১ নভেম্বর শেষ হয়ে গিয়েছিল, কারণ রাজ্যের প্রায় ১৫ শতাংশ ভোটার তখনও ফর্ম পাননি। এর পরে, ফর্ম বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য ১৪ নভেম্বরকে নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। এই ফর্ম বিতরণ সম্পূর্ণ হওয়ার অর্থ হল, পশ্চিমবঙ্গে তিন-পর্যায়ের SIR প্রক্রিয়ার প্রথম পর্বের সমাপ্তি। পশ্চিমবঙ্গে তিন-পর্যায়ের SIR-এর প্রথম পর্বটি ৪ নভেম্বর শুরু হয়েছিল। পুরো প্রক্রিয়াটি আগামী বছরের মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বঙ্গে SIR
প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গে SIR শেষবার হয়েছিল ২০০২ সালে। যেসব ভোটারের নাম বা তাঁদের বাবামায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল না, তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় রাখতে কমিশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া ১১টি নথির যেকোনো একটি জমা দিতে হবে। অন্য দিকে, যে ভোটারদের নাম বা তাঁদের পিতামাতার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় উল্লেখ ছিল, তাঁদের ECI-চিহ্নিত ১১টি পরিচয়পত্রের যে কোনো একটি জমা দিলেই হবে।
SIR-উত্তাপ
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এই প্রক্রিয়ার ঘোষণা করার পর থেকেই SIR নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেস শুরু থেকেই এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি, SIR হল রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) 'চাপিয়ে দেওয়ার' জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটি 'ফন্দি'। যদিও, বিজেপি দাবি করেছে, এই সংশোধনীর বিরোধিতা করার কারণ, তৃণমূলের ভয় যে, অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে।