• এনডিএ’তে ‘ছোট্ট’ দলের বড় ধামাকা, সুরক্ষিত হাতেই রামবিলাস ঐতিহ্যের ‘চিরাগ’
    প্রতিদিন | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারবেন কি? চিরাগ পাসওয়ানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু যাবতীয় সমালোচনা, প্রশ্নবাণকে মাঠের বাইরে ফেলে দিলেন তরুণ তুর্কি। বাবার নাম নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমে তাঁর ‘স্ট্রাইক রেট’ ৭০-এর কাছাকাছি। ২৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেমে ২০টিতেই এগিয়ে চিরাগের লোক জনশক্তি পার্টি।

    তবে রামবিলাস পাসওয়ানের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে ওঠার পথটা যথেষ্ট কণ্টকাকীর্ণ ছিল চিরাগের পক্ষে। ২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে লড়েছিল এলজেপি। ১৩০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে নিট ফল ছিল শূন্য। মাত্র একটা আসন যায় এলজেপির পকেটে। যদিও একাধিক আসনে ভোট কেটে জেডিইউর যাত্রা ভঙ্গ করেছিল চিরাগের দল। সেখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে, রামবিলাসের মতো বিরাট মাপের নেতা হওয়ার যোগ্যতা কি আদৌ রয়েছে চিরাগের? এরই মধ্যে বছর পাঁচেক আগে লোক জনশক্তি পার্টিতে ভাঙন ধরান রামবিলাসেরই ভাই পশুপতি কুমার পারস। আরও দুর্বল হয় চিরাগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।

    কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও হাল ছাড়েননি চিরাগ। নিজেকে ‘যুব বিহারী’ বলতেই গর্ববোধ করেন। রামবিলাসের শক্ত ঘাঁটি দলিত ভোটব্যাঙ্ককেই ভরসা করে আবারও ঝাঁপিয়ে পড়েন বিহারের রাজনীতিতে। কথায় বলে, পরিশ্রমের বিকল্প নেই। সেই উক্তিকেই আবারও সঠিক প্রমাণ করে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ম্যাজিক দেখান চিরাগ। বিহারের মাত্র পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছিলেন। প্রত্যেকটায় জিতে চিরাগ প্রমাণ করে দেন, তাঁর উপরে ভরসা করে ভুল করেনি এনডিএ। মোদি ৩.০ সরকারের মন্ত্রীও হন ‘১০০ শতাংশ স্ট্রাইক রেটে’র যুবনেতা।

    বিহার বিধানসভায় আসন বণ্টনের সময়ে সর্বশক্তি দিয়ে লড়েছিলেন। জেডিইউ-বিজেপি ‘ইগোর লড়াই’য়ের মধ্যেই নিজের দলের জন্য ২৯টি আসন ছিনিয়ে আনেন। দলের জন্য যতটা সম্ভব বেশি আসন নিশ্চিত করতে একটা সময় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গেও নাকি হাত মেলানোর কথা ভেবেছিলেন চিরাগ। শেষ পর্যন্ত চিরাগের ক্যারিশমাতেই ২৯টি আসন বরাদ্দ করে এনডিএ। তারমধ্যে ২২টি আসনে এগিয়ে এলজেপি প্রার্থীরা। আগামী দিনে তেজস্বী যাদবদের টেক্কা দিয়ে বিহার রাজনীতির মুখ হয়ে ওঠার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেলেন তরুণ তুর্কি, রামবিলাসের ঐতিহ্যের ‘চিরাগ’ রইল সুরক্ষিত হাতেই।
  • Link to this news (প্রতিদিন)