স্কুলের তিন শিক্ষকই ব্যস্ত এসআইআরের কাজে! ন’দিন ধরে বন্ধ স্কুল, শিকেয় পঠন-পাঠন
প্রতিদিন | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: শিক্ষক মাত্র তিনজন! তিনজনই ব্যস্ত এসআইআর কর্মসূচির কাজে। ফলে শিকেয় পঠনপাঠন। টানা প্রায় নয়দিন ধরে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে স্কুল। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতের নৃসিংহপুর তেওয়ারি মাঠ নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, পুজোর পর স্কুল খোলা হয়। কিন্তু পঠন-পাঠন সেভাবে হচ্ছিল না। এর মধ্যেই টানা নয়দিন টানা স্কুল বন্ধে চরম ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। প্রশ্নের মুখে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ।
পড়ুয়াদের সংখ্যা কমতে কমতে এসে ঠেকেছে মাত্র ৩০! অভিভাবকদের দাবি, অতীতের তুলনায় যা খুবই নগণ্য। যদিও পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে ইতিমধ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আশার আলো তেমনটা দেখা যায়নি বলে দাবি। এর মধ্যেই টানা স্কুল বন্ধে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, ”আগামী ডিসেম্বর মাসেই বার্ষিক পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু কোনও নোটিশ বা তথ্য না দিয়েই হঠাৎ স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।” তাঁদের প্রশ্ন, ”এসআইআর সংক্রান্ত কাজে যদি স্কুল বন্ধ রেখে চালাতে হয়, তাহলে ভবিষ্যতের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি কে পূরণ করবে?” এই বিষয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি অভিভাবকদের।
যদিও দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতো। তৃণমূল নেতার কথায়, ”বিদ্যালয়ের বন্ধ থাকার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই জানতে পারি।” তাঁর কথায়, ”এসআইআর সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকতেই পারেন, কিন্তু বিদ্যালয় বন্ধ রাখার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো উচিৎ ছিল। এই বিষয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বীরেন মাহাতো। ইতিমধ্যে বিষয়টি স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তবে ওই স্কুল পরিদর্শক জানিয়েছেন, ”অভিভাবকদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেই গত চার তারিখেই উচ্চ আধিকারিকদের ইমেল করে বিস্তারিত জানানো হয়েছিল।” কিন্তু এরপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।