• বিহারে এনডিএ ঝড়, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আবির খেলে সেলিব্রেশন অর্জুন অনুগামীদের
    প্রতিদিন | ১৪ নভেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর:  বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয়ের পথে বিজেপি! এখনও পর্যন্ত দুশোর বেশি আসনে এগিয়ে এনডিএ। অনেকটাই পিছিয়ে মহাগটবন্ধন। ফলাফলের ট্রেন্ডেই স্পষ্ট, বিহারে ফের ক্ষমতায় আসছে এনডিএ জোট। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত পদ্মশিবির। ইতিমধ্যে বিজয় উচ্ছ্বাস শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। চলছে লাড্ডু বিতরণ। বিহার নির্বাচনের জয়ের প্রভাব বাংলাতেও। ইতিমধ্যে কলকাতায় বিজেপি দপ্তর, ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে সেলিব্রেশন মুডে বঙ্গ বিজেপি নেতারা। এমনকী অর্জুন গড় ভাটপাড়াতেও মিষ্টি বিতরণ শুরু। উচ্ছ্বসিত বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, বিহারের জয় বাংলার মানুষকে ভাবিয়ে তুলবে। এমনকী বিহার নির্বাচনের ফলাফল পড়বে বলেও মন্তব্য বিজেপি নেতার। যদিও তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, “বাংলায় শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা।”

    বিহারে জনতার রায় কার্যত স্পষ্ট হতেই বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় গেরুয়া আবির খেলতে ময়দানে নেমে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। এমনকী পথ চলতি মানুষকে করানো হয় মিষ্টিমুখ। প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিং এর বাড়ির সামনে বাজি ফাটিয়ে জয়ের আনন্দে মাতেন কর্মীরা। এরপরেই প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিং বলেন, ”বিহারে এনডিএয়ের বিপুল জয় নিশ্চয় একবার হলেও বাংলার মানুষকে ভাবিয়ে তুলবে।” এমনকী নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে বলেও আশাবাদী বিজেপি নেতার। শুধু তাই নয়, এই জয় কর্মীদেরও বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মত তাঁর।

    যদিও বিজেপিনেতার মন্তব্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পালটা দিয়ে বলেন, “ওটা বিহারের সমীকরণ। বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। বাংলায় প্রভাব পড়বে না। বাংলায় উন্নয়ন, ঐক্য, সম্প্রীতি, অধিকার, আত্মসম্মান ফ্যাক্টর। ২৫০+ আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন।”

    এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, “বিহার দেখিয়ে বাংলাকে হুমকি দিয়ে বিজেপির যে নেতারা বিবৃতি দিচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন, তাঁরা অকারণ সময় নষ্ট করছেন। বাংলার মানুষের অধিকার, আত্মসম্মানকে আঘাত করে, শুধু অন্য রাজ্য দেখিয়ে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। এখানে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা। বিহার-সহ বহু রাজ্য তাঁর উন্নয়নের মডেল ফলোও করছেন। বাংলার মানুষ সার্বিক স্বার্থেই তৃণমূলকে সমর্থন করেন এবং করবেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)