সুমন করাতি, হুগলি: গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল এক বালক। শুক্রবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হল। বাড়ির কাছেই একটি তালাবন্ধ ঘর থেকে কম্বলে জড়ানো অবস্থায় ওই মৃতদেহ পাওয়া যায়। শিশুদিবসের দিন সকালে ওই বালকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা গেল হুগলির আরামবাগের মায়াপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুথাডাঙার মাদারতলা এলাকায়। মৃতের নাম শেখ রিয়ান। মৃতদেহ উদ্ধারের পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শিশুটিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ওই বালকের বাবা শেখ রুমজান ছোট ব্যবসায়ী বলে পরিচিত। শেখ রমজান আলি নামে এক ব্যক্তি তাঁর ছেলেকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ বাবার। জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতেই ভাড়া থাকেন শেখ রমজান আলি। চামড়ার একটি গোডাউনে তিনি কাজ করতেন। বালকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে পলাতক তিনি! স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও একাধিক কুকর্মের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়েছিল। তারপর থেকে আর তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আরামবাগ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয়রা গোটা রাত এলাকায় ওই শিশুর খোঁজে তল্লাশি চালায়। কিন্তু ওই ১০ বছরের বালকের কোনও সন্ধান মেলেনি। এদিন বেলায় ওই বন্ধ ঘরে তল্লাশি চালাতেই কম্বলে মোড়া ওই মৃতদেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, খোঁজাখুঁজির সময় রহমানও উপস্থিত ছিলেন। থানায় গিয়ে নিখোঁজের ডায়েরি করার সময়ও তিনি হাজির ছিলেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই তিনি পলাতক! ওই বালককে খুন করে শেখ রমজান আলি কম্বল চাপা দিয়ে ওই ঘরের মধ্যে মৃতদেহ রেখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।