শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: পরকীয়ায় বাধা! স্বামীকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের ইসলামপুরে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম টিঙ্কু ওরফে তাপস নন্দী। তিনি ইসলামপুরের রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সকালে টিঙ্কুর মা সন্ধ্যা নন্দী ঘরে গিয়ে দেখতে পান ছেলের গলায় ওড়না জড়ানো। ঝুলছেন জানলা থেকে। ঘরে নেই তাঁর স্ত্রী। ঘরে কেউ না থাকায় কেউ দেখতে পারেননি। এরপরই রান্নার বটি দিয়ে ওড়না কেটে টিঙ্কুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রী সুতপা নন্দী তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছেন। মৃতের মা জানিয়েছেন, “রাতে ছেলে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেছি। তারপর প্রতিদিনের মতো ভাইয়ের বাড়িতে যাই। ফিরে এসে ওই সাড়ে আটটা নাগাদ দেখি ছেলের গলায় ওড়না জড়ানো। জানলা থেকে ঝুলছে।”
আরও জানা গিয়েছে, সুতপা কাকার মেয়েকে স্কুল থেকে রোজ ১০টা নাগাদ আনতে যান। এদিন ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। মৃতের বাবা স্বপন নন্দী বলেন, “বউমার সঙ্গে অন্য এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। ছেলের মোবাইল থেকে ওই ছেলেকে টাকা পাঠাত বউমা। আজ সকালে সাড়ে পাঁচটা নাগাদও বউমাকে ঘরে দেখিছি।”
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে সুতপার সঙ্গে বিয়ে হয় টিঙ্কুর। কিছু দিনের এক যুবকের সঙ্গে সুতপার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে দাবি। ফলে অশান্তি লেগেই ছিল দম্পতির মধ্যে। আরও অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই স্বামীকে মারধর করতেন স্ত্রী সুতপা। প্রতিবাদ করলে খুনের হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মৃতের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে মৃতের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।