গোবিন্দ রায়: সোনারপুর কাণ্ডে বড় স্বস্তি! শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। গত শুনানিতে শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মামলার শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধান না করেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এরপরেই শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের নির্দেশ বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের।
বলে রাখা প্রয়োজন, গাড়িতে ধাক্কা লাগা নিয়ে সোনারপুরের ওই শুল্ক আধিকারিকের সঙ্গে অটোচালকদের বচসা হয়। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর তা যদিও মিটে যায়। আবাসনে চলে যান আধিকারিক। অভিযোগ, এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী শুল্ক আধিকারিকের আবাসনের বাইরে জড়ো হয়। দরজা ভেঙে আবাসনের ভিতরে ঢোকে তারা। কার্যত তাণ্ডব চালায়। অভিযোগ, ওই শুল্ক আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করা হয়। মাথা ফেটে যায় তাঁর। আধিকারিকের স্ত্রীকেও হেনস্তা করা হয় বলেই অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় শুষ্ক দপ্তরের আধিকারিককে কল্যাণী এইমসে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়।
ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিন পেয়ে যান। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। এই ঘটনার পালটা শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই আধিকারিক। এর আগে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার সময় কোনও আইনই মানেনি পুলিশ। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মনে করিয়ে সরকারি আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে FIR দায়ের করে দিলেন? সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাথমিক অনুসন্ধান করেছিলেন? ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী শুল্ক আধিকারিককে নোটিস পাঠানো হয়েছিল কিনা, সে প্রশ্নও করেন বিচারপতি। তবে একটি প্রশ্নেরও জবাব দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী।
আজ শুক্রবার ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে শুল্ক আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের নির্দেশ দেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ।