• রাজ্যের ৩৬ কেন্দ্রে ৩০ শতাংশ ভোটারের হদিশ নেই
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • রাজ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়ে গিয়েছে। তারপরও শহরকেন্দ্রিক ৩৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিএলওরা নির্দিষ্ট ঠিকানায় তিনবার গিয়েও তাঁদের কোনও খোঁজ পাননি।

    বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জেলা নির্বাচনী আধিকারিক ও ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এনুমারেশন ফর্ম বিলির হার ওই এলাকাগুলোতে কম কেন তা জানতেই বৈঠক হয়। ‘নিখোঁজ’ ভোটারদের মধ্যেই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা নিয়েও রয়েছে উঠছে প্রশ্ন।

    জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরা বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত তিনটি কারণে এই সব এলাকার ভোটাররা নিখোঁজ। শহরের বস্তি এলাকার ভোটারদের এর মধ্যে ধরা হয়েছে। অনেক জায়গায় বস্তি বা ঝুপড়ি উচ্ছেদ করে গত কয়েক বছরে বহুতল তৈরি হচ্ছে বা হয়েছে। ফলে সেখানকার বাসিন্দারা অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। তাঁদের নতুন ঠিকানা না জানায় ফর্ম বিলি করা সম্ভব হয়নি।

    শহরের বহু মানুষ ভাড়ায় থাকেন। অন্য ঠিকানায় চলে গেলে তাঁদের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ফলে সেখানে গিয়েও বিএলওরা এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে পারেননি। উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, বীরভূম, হাওড়া, উত্তর কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে এই ঘটনা সামনে এসেছে।

    সিইও দপ্তর সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারে বহু ভোটার অসম চলে গিয়েছে। খড়্গপুরে রেল কলোনির কোয়ার্টারে বহু মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এঁদের অনেকেই চাকরিসূত্রে এই সব জায়গায় থাকলেও পরে অবসর নিয়ে অথবা বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। ফলে তাঁদের বর্তমান ঠিকানা বিএলওদের কাছে নেই।

    একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে এনুমারেশন ফর্ম বিলির হার ৭৫ শতাংশের নীচে। সেই সব জেলার সঙ্গে সিইও-দের বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ভোটারদের খোঁজ পাওয়া না গেলে বিএলও-দের অ্যাপে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। ফর্ম জমা পড়ার পরে খসড়া ভোটার তালিকা দেখে বোঝা যাবে কাদের নাম বাদ পড়ল। বাদ পড়া ভোটাররা ৯ জানুয়ারির মধ্যে ৬ নম্বর ফর্মের সঙ্গে এসআইআর-এর ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন।

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)