• আরজি কর মামলায় বড় মোড়! ১১জনকে জেরা করে জমা হল সিসিটিভি ফুটেজ...আদালতে চরম মুহূর্ত...
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর (R G Kar case) হাসপাতালে ধর্ষণ এবং হত‍্যা মামলায় শিয়ালদা আদালতে সপ্তম স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। 

    ১১ জনকে জেরা করা হয়েছে। সিসিটিভি, সিডিআর খতিয়ে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নির্যাতিতার মা গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

    আদালত কক্ষেই সিবিআইয়ের দিকে আঙুল তুলে নির্যাতিতার মা বললেন, এরা একেবারে নির্লজ্জ।

    আদলত কক্ষ থেকে বেরিয়ে চোখে জল তদন্তকারী অফিসারের বললেন- 'আমিও মা...'

    নির্যাতিতার বাবা বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন ওঁর একটাই আবেদন। 'সিবিআই ক্রিমিনালকে বাঁচানোর জন্য যা করার তাই করছে। ওরা বড় তদন্তকারী সংস্থা। হোস্টেলে ঠিক কী পাওয়া গেছে সেটা তদন্তকারী অফিসার বলুক। এত দিন ধরে উনি আমার ফোন ধরেন না'। তিনি আরও বলেন, 'দিল্লিতে গিয়েছিলাম, ডাইরেক্টরের সঙ্গে কথা বলার পর উনি বলেন তাহলে আমরা মামলা ছেড়ে দিছি। আমরা বলি এটা কোর্টে বলুন। তারপর ওঁরা আমাদের ডেকে বলেন, অতিরিক্ত চার্জশিট দেব'। 

    জাজ জিজ্ঞাসা করেন, 'হস্টেলে কি রেলিভেন্ট কিছু পাওয়া গিয়েছিল'?

    নির্যাতিতার বাবা বলেন 'ছিল। এটা আমরা গোপন জবানবন্দি দিয়ে জানাব'।

    আইও বাড়িতে এসে বলেছিলেন- 'মেয়েটার কপাল খারাপ। সঞ্জয় গিয়ে এই কাজ করে হত‍্যা করেছে'। 

    নির্যাতিতার মা বলেন- 'আমি মেয়ে হারিয়েছি, কেন আমাকে বলতে দেওয়া হবে না?'

    মায়ের অভিযোগ- তদন্ত চলাকালীন সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন- ওই সময় তদন্তকারী অফিসার কী বলতে হবে তা বাবাকে শিখিয়ে নিয়ে এসেছিলেন।

    'আমার মেয়ে সেমিনার রুমে থাকত না। কোথায় ছিল? এটা জানতে চাওয়া কি খুব বেশি চাওয়া?'

    এর পর সিবিআইয়ের দিকে আঙুল তুলে বলেন, 'এরা একেবারে নির্লজ্জ'।

    জাজ ওদের শান্ত ভাবে বাইরে যেতে বলেন এবং বাইরে গিয়ে কোনও কিছু করতে নিষেধ করেন।

    এসবের কিছু পরে তদন্তকারী অফিসার আদালত কক্ষের বাইরে এসে কেঁদে ফেলেন। বলেন, 'আমিও মা'।

    প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন আগেই। কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার পদে ইস্তফা দেন আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা ডেপুটি সুপার আখতার আলি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ডেপুটি সুপারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এবার আরজি করের ঘটনায় তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলীকে সাসপেন্ড করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আর জি করের ডেপুটি সুপার থাকাকালীন কর্তব্যে অবহেলা, বিভিন্ন জিনিস কেনায় অপরিমিত দুর্নীতি,  নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেআইনিভাবে বিমানে করে ঘুরতে যাওয়া-সহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।

     

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)