• ‘প্রাক্তনে’র সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, মা রাবড়িকে হারানো নেতাকে হারিয়ে মান বাঁচালেন তেজস্বী
    প্রতিদিন | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় দশকের ব্যবধান। কিন্তু লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারে ‘ধাক্কা’ দেওয়ার ট্র্যাডিশন ধরে রেখেছেন তিনি- সতীশ কুমার যাদব। ১৫ বছর আগে রাবড়ি দেবীকে পরাস্ত করেছিলেন, এবার তেজস্বী যাদবের বিধায়ক হওয়ার স্বপ্নে একপ্রকার জল ঢেলেই দিচ্ছিলেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে কান ঘেঁষে এগিয়ে গিয়ে কোনওক্রমে মান বাঁচালেন তেজস্বী যাদব।

    ১৫ বছর আগে ২০১০ বিধানসভা নির্বাচনে রাঘোপুরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল আরজেডির। দলীয় গড়েই হেরে গিয়েছিলেন দলের ফার্স্ট লেডি রাবড়ি দেবী। সেবার জেডিইউর টিকিটে লড়েছিলেন সতীশ। ১৩ হাজার ভোটে পরাস্ত করেছিলেন লালুপত্নীকে। ২০২৫ সালে আবারও সেই রাঘোপুরেই ভাগ্য নির্ধারণে দাঁড়ান লালুপুত্র তেজস্বী। এবার তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপির টিকিটে লড়া সতীশ। দল বদলেও লালুগড়ে  জোর ধাক্কা দেন এই ‘চাষি’। একটা সময় ১৩ হাজার ভোটে তেজস্বীকে পিছনে ফেলে দেন। তবে গণনা যত এগোয়, ধীরে ধীরে রাঘোপুরে পাল্লা ভারী হয় লালুপুত্রর। শেষমেশ মা রাবড়ি দেবীর প্রাক্তন প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে ১৪,৫৩২ ভোটে জিতে নিজের গড় ধরে রাখলেন তেজস্বী।  

    রাজনৈতিক জীবনের শুরুটা লালুর হাত ধরেই করেছিলেন সতীশ। দীর্ঘ ১৫ বছর আরজেডিতে কাজ করেছেন। তবে নির্বাচনী রাজনীতি সাফল্য পাওয়া শুরু হয় সতীশের জেডিইউ জমানা থেকে। ২০০৫ সালে নীতীশ কুমারের দলে যোগ দেন সতীশ। পাঁচ বছর পরেই রাঘোপুরে টিকিট পান, রাবড়ি দেবীর মতো হেভিওয়েট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে সকলকে চমকে দিয়ে জিতে নেন ১৩ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে।

    কিন্তু ২০১৫ সালে আরজেডি-জেডিইউ জোট হয়ে গিয়ে রাঘোপুর আসনটি চলে যায় লালুর দলের হাতে। তখন জেডিইউ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সতীশ। রাঘোপুর থেকে প্রার্থীও হন। কিন্তু ওই আসন থেকে জেতেন লালুপুত্র তেজস্বী। ওই কেন্দ্র পরপর দু’বার লড়েও হারতে হয়েছে সতীশকে। তৃতীয়বার চলল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে শেষবেলায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে হারানোর ইতিহাস আর লেখা হল না তাঁর। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)