সব থেকে বেশি ভোট পেয়েও আসন সংখ্যায় তৃতীয়, গণতন্ত্রের ‘পরিহাসে’ বিহারে ধরাশায়ী আরজেডি
প্রতিদিন | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে হল না পরিবর্তন। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ-এর উপরই আস্থা রাখল বিহারবাসী। ধরাশায়ী আরজেডি-কংগ্রেস। কিন্তু প্রাপ্ত ভোটের হারের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, এবারের নির্বাচনে বিজেপি এবং জেডি(ইউ) দুই দলের থেকেই বেশি ভোট পেয়েছে তেজস্বী যাদবের আরজেডি। কিন্তু গণতন্ত্রের ‘পরিহাসে’ তা-ও ধরাশায়ী হতে হল তাদের।
এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে আরজেডির প্রাপ্ত ভোটের হার ২২.৯৮ শতাংশ, বিজেপির ২০.০৭ শতাংশ এবং জেডি(ইউ)-এর ১৯.২৭ শতাংশ। অর্থাৎ এনডিএ জোটের প্রধান দুই দলের থেকে আরজেডির প্রাপ্ত ভোটের হার বেশি। বলা হয়, ভোটদান গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। কিন্তু এই ভোটের মারপ্যাঁচই বদলে দেয় রাজনীতির সমীকরণ। সেটাই ফের একবার প্রমাণ হল এবারের বিহার নির্বাচনে। এখনও পর্যন্ত বিহারের ফলাফল বলছে, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ দু’শোর বেশি আসনে এগিয়ে। আর তেজস্বীর নেতৃত্বাধীন মহাগটবন্ধন ৪০-এর গণ্ডিও পেরোতে পারেনি। আরজেডি, বাম, কংগ্রেস সবারই এক হাল। বিশেষ দুরবস্থা কংগ্রেসের।
তবে বিহারে এনডিএ-র জয়ের ফলাফল স্পষ্ট হতেই পরবর্তী বিহার সরকারের মুখ কে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। নীতীশ কুমারকে সামনে রেখেই কার্যত লড়াইয়ের ময়দানে এগিয়েছে এনডিএ জোট। আলাদা করে কারও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের শাহের বক্তব্যে উঠে এসেছে নীতীশের নাম। কিন্তু বিহার ভোটে নীতীশ দশে দশ পেলেও তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন? উঠছে প্রশ্ন। বিজেপি এবং জেডিইউর সঙ্গেই এনডিএ জোটে রয়েছে এলজেপি এবং হাম। বিহার নির্বাচনে জোটে থাকা এই দুই দলই দারুণ ফল করেছে। তাই মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনেও তাদের বড় ভূমিকা থাকতে পারে।