পদত্যাগ না করেই ছুটিতে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান! কেন ইস্তফা দিতে হবে? জানতে চেয়ে চিঠি বক্সিকে
প্রতিদিন | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে সাতদিনের মধ্যে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেয় তৃণমূল। সেই নির্দেশ অমান্য করে এখনও চেয়ারম্যান পদেই বহাল তিনি। ফলে গোপাল শেঠের পদত্যাগ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এহেন জল্পনার মধ্যেই ছুটিতে গেলেন গোপালবাবু। পদত্যাগের প্রশ্নে তাঁর দাবি, ”পুরসভার অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য আমার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেছে৷ বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় আমি পদত্যাগ করতে পারলাম না৷” শুধু তাই নয়, কেন তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা জানতে চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন গোপালবাবু।
চাহিদা অনুযায়ী নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থতা-সহ জলযন্ত্রণা নিয়ে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কয়েকমাস আগে তৃণমূলের ভোটকুশলী সংস্থার সমীক্ষার রিপোর্টে এমনটাই উঠে আসে। সঙ্গে গত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের সবকটিতেই তৃণমূলের হারের কারণও সামনে এসেছে। এসবের জেরে বনগাঁ পুরসভায় চেয়ারম্যান বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। সেইমতো শুক্রবার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু দলীয় নির্দেশের মান্যতা দেননি গোপাল। পাঠাননি ইস্তফাপত্রও।
এরপরেই গোপাল শেঠকে শোকজের চিঠি পাঠায় বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল। চিঠিতে দলীয় নির্দেশ অন্যান্য করার কারণ জানতে চাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পদত্যাগের জন্য সাতদিনের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরেও নিজের অবস্থানে অনড় গোপালবাবু। এখনও পুরসভার চেয়ারম্যান পদ আঁকড়ে তিনি! এর মধ্যেই এদিন সাময়িক ছুটিতে যাওয়ার কথা জানান গোপাল শেঠ। তিনি বলেন, ”শারীরিকভাবে অসুস্থ চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়েছি৷ দলীয় নির্দেশে পদত্যাগ করতাম। কিন্তু জানতে পেরেছি বনগাঁ পুরসভার অপসারিত ভাইস চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য আমার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেছে৷ বিষয়টি এখন বিচারাধীন থাকায় আমি পদত্যাগ করতে পারলাম না৷” উল্লেখ্য, গোপাল শেঠের পদত্যাগের নির্দেশের মধ্যেই জ্যোৎস্না আঢ্যকে
অন্যদিকে গোপালবাবুর দুজন পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। সম্প্রতি সেই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে৷ সে বিষয়ে এদিন ক্ষোভ জানিয়ে গোপাল শেঠের দাবি, ”আমার মৃত্যু হলে পুলিশ প্রশাসন দায়ী থাকবে। তবে আমি মৃত্যু ভয় করিনা। দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করি না।” দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন গোপাল শেঠ।