• জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ, চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল
    এই সময় | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ এবং ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। তার পরেই অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হল।

    রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে চার চিকিৎসকের। তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় টেরর মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে।

    ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লায় বিস্ফোরণের পিছনে জৈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে আল ফালাহ ইউনিভার্সিটির  একাধিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

    ফরিদাবাদে বিস্ফোরণ উদ্ধারের ঘটনায় মুজাম্মিল আহমেদ, উমর মহম্মদ এবং শাহিন শহিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা তিন জনেই আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন। অন্য দিকে, জম্মু কাশ্মীরে জৈশ-ই-মহম্মদের -হয়ে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথেরকে। ওই চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে জাতীয় চিকিৎসা কমিশন (এনএমসি)।

    ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের তরফে, ওই চার জনের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল রেজিস্টার (আইএমআর) এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল রেজিস্টার (এনএমআর) বাতিল করার কথা জানিয়ে নোটিস জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই এনএমসি জানিয়েছে, ওই চার জন কোনও রকম প্র্যাকটিস অর্থাৎ কারোর চিকিৎসা করতে পারবেন না। দেশের মধ্যে কোথাও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না তারা।

    এনএমসির নোটিস অনুসারে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তরপ্রদেশ মেডিকেল কাউন্সিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত আন্তঃআঞ্চলিক মডিউলের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    এনএমসি জানিয়েছে, ওই চিকিৎসকদের কাজ ‘মেডিক্যাল এথিক্স’-এর বিরোধী।

    উল্লেখ্য, গত ১০ নভেম্বর, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১৩ জনের। তার আগেই ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয় ২৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় মুজাম্মিল আহমেদ এবং শাহিন শহিদকে। অন্য দিকে আদিল আহমেদের কাছ থেকে পাওয়া যায় আগ্নেয়াস্ত্র। তাদের গ্রেপ্তার এবং জেরা করে জঙ্গি সংগঠনের সংগঠনের সঙ্গে হোয়াইট কলার মডিউলের যোগ থাকার কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।

  • Link to this news (এই সময়)