নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিহার জিতেই বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণে কংগ্রেস এবং আরজেডিকে রীতিমতো তুলোধনা করেছেন মোদি। তিনি বলেন, কংগ্রেস এখন মুসলিম লিগি মাওবাদী কংগ্রেস পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন পরজীবীতে পরিণত হয়েছে। একটা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি কংগ্রেসের সহযোগী দলগুলিও বুঝে গিয়েছে, এর নেতিবাচক রাজনীতি বাকিদেরও ডুবিয়ে দেবে। কংগ্রেস শুধু তুষ্টিকরণ রাজনীতি করতে পারে। বিহার ভোটে বিজেপি নয়া ‘এম’ ‘ওয়াই’ সমীকরণের উদ্ভব ঘটিয়েছে। তা হল মহিলা এবং যুব বা ইয়ুথ। কিছু রাজনৈতিক দলের বিভাজনের রাজনীতি এই সমীকরণে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি।
সাম্প্রতিক নির্বাচনী আবহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভোট চুরি’, ইভিএম সংক্রান্ত অভিযোগকেও এক হাত নেন প্রধানমন্ত্রী। অতীতে বিহারের ‘জঙ্গলরাজে’র জন্য সরাসরি আরজেডির দিকেই আঙুল তুলেছেন মোদি। বলেছেন, আরজেডির জঙ্গলরাজের সময় বিহারের মানুষকে অনেক কিছু সহ্য করতে হয়েছে। প্রকাশ্যে হিংসা হতো, ব্যালট লুট হত। সেসব এখন অতীত। লাল করিডরও আর নেই। বিহারের মানুষ অনেক খোলা মনে ভোট দিতে পারছেন। তাই এবার রেকর্ড ভোট গ্রহণ হয়েছে। এসআইআর নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ যে মিথ্যে, তাও বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ করেছেন লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ, কর্পূরী ঠাকুরের প্রসঙ্গ। এদিনের ভাষণ নরেন্দ্র মোদি শুরুই করেছেন ‘জয় ছটি মাইয়া’ সম্ভাষণে। প্রসঙ্গক্রমে এসেছে বিহারের জনপ্রিয় মিষ্টি মাখানা-কি-ক্ষিরের কথাও। তবে বিহারে এনডিএ শিবিরের এহেন জয়ে যার ভূমিকা প্রায় সমান সমান, সেই নীতীশ কুমারের প্রসঙ্গ এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেছেন মাত্র একবার। শুধু বলেছেন, নীতীশজি দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন বিহারের ভোটে।
ভাষণে বাংলায় ভোটের বিউগলও বাজিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, গঙ্গাজি বিহার হয়েই বাংলার দিকে বয়ে যায়। বিহারের এই জয় বিজেপিকে বাংলার রাস্তা তৈরি করে দিল। বিজেপির নেতাকর্মীরা এককাট্টা হয়ে বিহারের মতোই বাংলাতেও জঙ্গলরাজ উপড়ে ফেলে দেবেন। মোদিকে জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি স্বপ্ন দেখুন। কিন্তু বাংলা জয়ের দুঃস্বপ্ন দেখবেন না। এর আগের নির্বাচনগুলিতে আপনি ডেইলি প্যাসেঞ্জার হয়ে বাংলায় এসেছিলেন। কিন্তু তারপরেও বিজেপিকে বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটবে। সেটার জন্য অপেক্ষা করুন নরেন্দ্র মোদি। ছবি: পিটিআই