বেঙ্গন কি ভর্তা থেকে লিট্টি চোখা, বিজেপির লাঞ্চের মেনুতেও একটুকরো বিহার
বর্তমান | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: যে কোনও ভোট জয়ের উদযাপনে দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে পরিচিত খাবারই থাকে। যেমন, কচুরি, রাইস, পনির, মিক্স ভেজ, এবং শেষ পাতে মিষ্টি। তবে যে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল উদযাপন করা হচ্ছে, সেখানকার জনপ্রিয় সব খাবারের তালিকা মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে যোগ হচ্ছে, এমন নজির খুব বেশি নেই। কিন্তু বিহারের ক্ষেত্রে সেই ‘প্রথা’ ভাঙল বিজেপি। শুক্রবার বিহারে বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে এনডিএ। একপ্রকার বেনজিরভাবেই তারই প্রতিফলন ফুটে উঠেছে নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে, বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খাবারের তালিকায়। বেঙ্গন কি ভর্তা (বেগুন ভর্তা), সাত্তু পরাঠা (ছাতুর পরোটা) বা লিট্টি চোখা— জয় উদযাপনে খাবারের মেনুতেই শুক্রবার এমনই অভিনবত্ব নিয়ে এসেছে দল। খাবার টেবিলে যেন উঠে এসেছে একটুকরো বিহার।
বিজেপির সদর কার্যালয়ের বাইরেই পরপর কয়েকটি স্টলে লিট্টি চোখা দেদার বিক্রি হয়েছে শুক্রবার। কিছু স্টলের আয়োজন করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকেই। তবে বিজেপির যেকোনও উদযাপনের অন্যতম ‘সিগনেচার’ মিষ্টি লাড্ডু বিলি হয়েছে নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে। মুহূর্তে শেষ হয়ে গিয়েছে জালেবি (অর্থাৎ, জিলিপি)। আদতে দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা আমন পুষ্কর কর্মসূত্রে বেশ কয়েক বছর ধরেই দিল্লিতে আছেন। এদিন বাড়িতে তৈরি করা লিট্টি চোখা নিয়ে তিনি হাজির হয়েছিলেন বিজেপি কার্যালয়ে। বললেন, পরিচিত হোক কিংবা অপরিচিত—আজকের দিনে সকলের সঙ্গে ভাগ করে লিট্টি চোখা না খেলে বিহার ভোটের জয় পালন করাই সম্ভব হবে না। এক মোদিভক্ত এদিন বিজেপির সদর দপ্তরে হাজির হয়েছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের বেশে! এক হাতে তাঁর ধরা ছিল লণ্ঠন, অন্য হাতে তির। অর্থাৎ, বিহারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দু’টি দলের নির্বাচনী প্রতীক। তির দিয়ে লন্ঠনকে ক্রমাগত খুঁচিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বললেন, রাজ্যে নীতিশ কুমার জনপ্রিয় বটে। কিন্তু এবার বিহারে অন্যতম প্রধান ‘ফ্যাক্টর’ ছিলেন নরেন্দ্র মোদিই। বিহারের মানুষও তা জানে।