শ্রীনগর (পিটিআই): দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ‘মেডিকেল মডিউলে’র অন্যতম সদস্য ডাঃ মুজাম্মিলের। তল্লাশি চালিয়ে তার ফরিদাবাদের ভাড়া বাড়ি থেকে ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারই অংশ বিশেষ শ্রীনগরের নওগাঁও থানায় আনা হয়েছিল। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। মৃত্যু হয়েছে চারজনের। জখম অন্তত ২৭। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। থানায় বিস্ফোরণ হওয়ায় আহত-নিহতদের মধ্যে পুলিশের সংখ্যাই বেশি। জখমদের চিকিৎসা চলছে সেনার ৯২ বেস হাসপাতাল, এসকেআইএমএসে। গোটা থানাই কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশে বেশ কয়েকটি বাড়ি, গাড়িও। থানা চত্বরে একাধিক স্বল্পমাত্রার বিস্ফোরণেরও আওয়াজ পাওয়া গিয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই থানাতেই হোয়াইট কলার টেরর মডিউলের প্রাথমিক মামলা দায়ের হয়েছিল। উদ্ধার হওয়ার বিস্ফোরকের কিছু অংশ পুলিশের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। বাকিটা রাখা হয় থানাতেই। এরমধ্যে প্রচুর অ্যামেনিয়াম নাইট্রেটও ছিল। সেকারণে বিস্ফোরণ এত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত মাসে নওগাঁওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে হুমকি দিয়ে একাধিক পোস্টার পড়ে। তদন্তে নামে শ্রীনগর পুলিশ। তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরা করতেই ধীরে ধীরে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মেডিকেল মডিউল’এর হদিশ মেলে। সেই সূত্র ধরে মুজাম্মিলের ফরিদাবাদের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল বিস্ফোরক।