ইনিউমারেশন পর্বে নতুন ভোটার সংযুক্তি নয়, ঘোষণা করেও পিছিয়ে এল নির্বাচন কমিশন, দেওয়া হবে না ৬ নম্বর ফর্ম
বর্তমান | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
শুভঙ্কর বসু, কলকাতা: ঘোষণা করেও পিছিয়ে এল নির্বাচন কমিশন। ইউনিউমারেশন পর্বে হবে না নতুন ভোটার সংযুক্তির কাজ। অর্থাৎ এই পর্বে নতুন ভোটাররা তালিকায় নাম তুলতে পারবেন না। শুক্রবার কমিশন সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ নম্বর ফর্ম (ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য প্রযোজ্য ফর্ম) দেওয়া হবে না। এই পর্বে কেবল ইউনিউমারেশন ফর্ম জমা করার কাজ চলবে।
অথচ পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর ঘোষণার সময় কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছিল, ইনিউমারেশন পর্বে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন সদ্য আঠারো পেরোনো যুবক-যুবতীরা। প্রতিটি বাড়িতে ইনিউমারেশন ফর্ম বিলির সময় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নতুন ভোটারের খোঁজ করতে হবে বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও)। কোনও বাড়িতে যদি সদ্য ১৮ পেরোনো যুবক বা যুবতীর খোঁজ মেলে, সেক্ষেত্রে তাদের ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করার জন্য দিতে হবে। এছাড়াও কমিশনের নির্দেশ ছিল, প্রতিটি বিএলওর কাছে অন্তত ৩০টি ওই ফর্ম রাখতে হবে। কিন্তু এই ঘোষণার পরও ইনিউমারেশন পর্বে নতুন ভোটার সংযুক্তি, ঠিকানা পরিবর্তন সহ বাকি ফর্ম ‘প্রসেসে’র কাজ বন্ধ থাকছে বলে সূত্রের খবর। অনলাইনে আবেদন কিংবা ফর্ম ডাউনলোড করে তা নির্বাচনি কার্যালয়ে জমা দিলেও লাভ নেই। কারণ, ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নতুন ফের নতুন ভোটার সংযুক্তি, ঠিকানা পরিবর্তন ইত্যাদির কাজ শুরু হবে।
কিন্তু ঘোষণা সত্ত্বেও কেন পিছিয়ে গেল কমিশন? কমিশনের এক কর্তার কথায়, বিএলওদের কাছে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এসআইআরের কাজ। সময়মতো সেই কাজ শেষ করতে হবে। ফলে এখন তাদের দিয়ে ৬ নম্বর ফর্ম বিলি বা জমা করার কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না। এই পর্বে তাই শুধু ইনিউমারেশন ফর্ম বিলি ও জমার কাজই হবে। একবার খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়ে গেলে নতুন ভোটার সংযুক্তির কাজ করতে সুবিধা হবে। ৯ ডিসেম্বরের পর জেলা নির্বাচনি আধিকারিকের দপ্তর থেকে ফের ৬ নম্বর ফর্ম বিলি শুরু হবে বলে খবর। ওই সময় থেকেই মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিক দপ্তরের পোর্টালে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেও নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন জানানো যাবে। খসড়া তালিকায় যাদের নাম আসেনি, তাঁরাও ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।