• শ্রীনগরের থানায় বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, জখম আরও অন্তত ২৯
    বর্তমান | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • শ্রীনগর, ১৫ নভেম্বর: শুক্রবার মধ্যরাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল শ্রীনগরের নওগাঁও থানা। লালকেল্লা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে ফরিদাবাদ থেকে ৩৬০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তারই কিছুটা আনা হয়েছিল থানায়। গতকাল নমুনা পরীক্ষার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এখনও পর্যন্ত ন’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম আরও অন্তত ২৯ জন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    দিল্লি বিস্ফোরণে জড়িত ‘মেডিকেল মডিউলে’র অন্যতম সদস্য ডাঃ মুজাম্মিল। তল্লাশি চালিয়ে তার ফরিদাবাদের ভাড়াবাড়ি থেকে ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়। গতকাল রাতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল থানায় সেটির নমুনা পরীক্ষা করছিল। সেসময় বিস্ফোরণ ঘটে। জখমদের অধিকাংশই পুলিশকর্মী ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। তাঁদের চিকিৎসা চলছে সেনার ৯২ বেস হাসপাতাল, এসকেআইএমএসে। 

    জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতো প্রবল ছিল যে মৃতদের দেহাংশ ছিটকে গিয়ে পড়েছে অনেক দূরে। গোটা থানা ভবন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি। পুড়ে গিয়েছে একাধিক গাড়ি। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ-প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা। গোটা এলাকাটি ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। 

    সূত্রপাত হুমকি পোস্টার ঘিরে। গত মাসে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে হুমকি দিয়ে একাধিক পোস্টার নজরে আসেন নওগাঁওয়ে। তদন্তে নামে পুলিশ। তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জেরা করতেই ধীরে ধীরে সামনে আসে ‘হোয়াট কলার সন্ত্রাস’-এর চক্রান্ত। যার মূলে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মেডিকেল মডিউল। সেই সূত্র ধরে মুজাম্মিলের ফরিদাবাদের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল বিস্ফোরক।
  • Link to this news (বর্তমান)