প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভদ্রা বসু। শুক্রবার গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নিমতলা ঘাটে ভদ্রা বসুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। অভিনেত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ভদ্রা বসু। দিন তিনেক আগে হয় জরুরি অস্ত্রোপচার হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৬৫ বছর। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাগতা মুখোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মঞ্চ এবং পর্দার অভিনেতারা।
প্রখ্যাত নাট্য নির্দেশক তথা অভিনেতা অসিত বসুর স্ত্রী ভদ্রা। তাঁর দুই সন্তান দামিনী বেণী বসু এবং আনন্দী বসুও অভিনয় ও মঞ্চের খ্যাতনামী ব্যক্তিত্ব। শনিবার সকালে মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে দামিনী লেখেন, ‘চিরন্তন আনন্দ, মা…’। জনপ্রিয় নাটক পরিচালনার পাশাপাশি সিরিজ এবং ছবিতেও অভিনয় করেছেন ভদ্রা। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’, অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়ের ‘বেলা’-য় দেখা গিয়েছিল ভদ্রা বসুকে।
সমাজমাধ্যমে রাহুল লিখেছেন, ‘আমি মনের দিক দিয়ে এক কিশোরী সহ অভিনেত্রীকে হারালাম। আমরা হারালাম অন্যতম শক্তিশালী এক অভিনেত্রীকে। ভদ্রা দি।’ সোহান লেখেন, ‘…এই মানুষটা আমায় প্রথম আলাপেই ‘তুই’ করে ডেকেছিল। নাটক দেখে ভালো লাগায় থুতনি ধরে আদর করে নেড়ে দিয়েছিল। সেই মুহূর্ত থেকে বড় আপনার মানুষ মনে হয়েছিল ভদ্রাদিকে।…কাল গভীর রাতে জানতে পেরে….. আর ত কেউ বলবে না, পাকামি করিসনা, কানটা মুলে দেব।’