• ফরিদাবাদে বাজেয়াপ্ত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাশ্মীরের থানায়, মৃত অন্তত ৯
    প্রতিদিন | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করেছিল কাশ্মীর পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সেই বিস্ফোরক যে থানায় রাখা হয়েছিল, দুর্ভাগ্যবশত সেখানেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম থানায় ওই বিস্ফোরণে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অন্তত ২৫। আহতদের অধিকাংশই পুলিশ কর্মী এবং ফরেনসিক বিভাগের কর্তা।

    শ্রীনগরের নওগামে জইশ-ই-মহম্মদের একটি পোস্টারের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছিল নওগাম থানার পুলিশ। সেই তদন্তেই উন্মোচিত হয় সন্ত্রাসবাদের ফরিদাবাদ মডিউল। সেই মডিউলেরই একটা অংশ দিল্লিতে বিস্ফোরণে যুক্ত। হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে মোট ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। তাতে ছিল বোমা তৈরির মশলা এবং অস্ত্রশস্ত্র। সেই সব বিস্ফোরক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হয়।

    শুক্রবার রাতে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি দল সেই বিস্ফোরক পরীক্ষানিরীক্ষা করতে যান। সেসময় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। কার ভুলে এই বিস্ফোরণ, কোনও অন্তর্ঘাত আছে কিনা স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে দিল্লিতে বিস্ফোরণে যে বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে, কাশ্মীরেও সেই বিস্ফোরকের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। দুর্ভাগ্যবশত ওই পরীক্ষানিরীক্ষার সময় থানায় প্রচুর পুলিশ কর্মী এবং ফরেনসিক কর্তা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আরও অন্তত ২৫ জন আহত। ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    নওগাম থানার ঘটনায় আহতদের ভারতীয় সেনার ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। গোটা এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)