বঙ্গবাসীর বিহার জয়! বক্সার থেকে বিধায়ক হলেন উত্তরপাড়ার আনন্দ
প্রতিদিন | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: শুক্রবার ছিল বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল গণনা। গেরুয়া ঝড়ে প্রায় ধুয়ে মুছে সাফ বিরোধী জোট। এর মাঝেই এক টুকরো ছোঁয়া পশ্চিমবঙ্গের। উওরপাড়ার প্রাক্তন বাসিন্দা এবং প্রাক্তন আইপিএস আনন্দ মিশ্রা জিতলেন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে। বক্সার থেকে নির্বাচিত হলেন তিনি।
উত্তরপাড়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পরমহংস মিশ্রার ছেলে আনন্দ মিশ্রা। উত্তরপাড়া বিধানসভা এলাকার হিন্দমোটর এডুকেশন সেন্টার থেকে প্রথমে মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে হিন্দমোটর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপরে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে পলিটিকাল সায়েন্স বিষয়ে স্নাতক পাশ করেন তিনি। ২০১১ সালের আইপিএস আনন্দ অসমে কর্মরত ছিলেন। জানা গিয়েছে, নব প্রজন্মের কাছে কাছে প্রায় আইডল হিসাবে গ্রহনযোগ্যতা তৈরি হয়ে গিয়েছিল আনন্দর। ছোট থেকেই অদম্য জেদ এবং অধ্যাবসায়ই সেই দিনের আনন্দ মিশ্রাকে আজ এই জায়গায় এনেছে বলে জানাচ্ছেন তাঁর শিক্ষক।
শুধু পড়াশোনায় নয় ছোট থেকেই আনন্দ মিশ্রা ক্যারাটেতেও পারদর্শী ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে উত্তরপাড়ার ক্যারাটে প্রশিক্ষক সেনসাই প্রসেনজিৎ মুখার্জীর হাত ধরে ক্যারাটেতে যোগদান। এরপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আনন্দ মিশ্রাকে। এই বিষয় প্রসেনজিৎ মুখার্জী জানান, ছোট থেকেই আনন্দর মধ্যে বড় কিছু করার অদম্য ইচ্ছা ছিল। যা কাজ দেওয়া হত তাই অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করত আনন্দ। তখনকার সেই আনন্দ একদিন যে বাস্তবের আইপিএস দাপুটে পুলিশ অফিসার হয়ে উঠবে তা কে জানতো।
কিন্তু আনন্দ মিশ্রার হঠাৎ আইপিএস-এর চাকরি ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান অনেকেই ভালো ভাবে মেনে নেননি। প্রিয়জন থেকে শিক্ষক অনেকেই বারণ করেছিলেন কিন্তু সেই অদম্য জেদ ও ইচ্ছা শক্তির জোড়েই আজ আনন্দ মিশ্রা বিহারের বক্সার থেকে জয়ী হয়েছেন। আত্মীয়স্বজন থেকে পাড়া প্রতিবেশী সকলেই খুশি আনন্দর এই সাফল্যে। এই বিষয় আনন্দ বেশি কিছু বলতে না চাইলেও তিনি জানান, “আমি বাকিটা জীবন মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।”