• বাংলাদেশে যেতে হবে না তো! এসআইআর শঙ্কায় জলপাইগুড়িতে আরও এক মৃত্যুর অভিযোগ
    প্রতিদিন | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: রাজ্যজুড়ে চলছে এসআইআর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি করছেন বিএলওরা। এর মধ্যেই এসআইআর আতঙ্কে বাংলায় ফের মৃত্যুর অভিযোগ। মৃত ব্যক্তির নাম কমলা রায়। ঘটনাটি ঘটেছ জলপাইগুড়ির সাতকুড়া এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, ”২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকার পরেও আতঙ্কে ছিলেন।”  বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে, এই আতঙ্ক কমলা রায়কে গ্রাস করেছিল। সেই কারণেই এই ঘটনা বলে দাবি পরিবারের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল জলপাইগুড়িতে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    জানা যায়, বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছে সাতকুড়া এলাকা। প্রায় ৪০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন কমলা রায়। সীমান্ত এলাকায় শুরু করেন বসবাস। পরিবারের দাবি, ”২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। এমনকী আধার কার্ড, ভোটার কার্ড-সহ একাধিক বৈধ নথিও ছিল।” কিন্তু এরপরেও বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে, এই আশঙ্কায় ভুগছিলেন বলেও দাবি পরিবারের। এই আতঙ্ক থেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে বছর ৫৩ এর কমলা রায় আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ।

    ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা। গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। দাবি, ”এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই আতঙ্ক চেপে বসে ছিল মনে। বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এই আশঙ্কায় ভুগছিলেন। আতঙ্ক থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।” সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকার বার্তা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।

    বলে রাখা প্রয়োজন, শুক্রবারই এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী হন এক প্রৌঢ়। মেয়ের নামের ফর্ম না পেয়ে চরম পথ বেছে নেন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভুবনচন্দ্র রায়। জলপাইগুড়ির আমবাড়ির কামারভিটার বাসিন্দা তিনি। স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে সংসার তাঁর। জানা যায়, পরিবারের বাকিদের নাম এলেও SIR-এ তাঁর মেয়ের ফর্ম আসেনি। তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন ভুবন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যুর অভিযোগ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)