সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে হল না পরিবর্তন। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র উপরই আস্থা রাখল বিহারবাসী। ধরাশায়ী আরজেডি-কংগ্রেস। এখানেই শেষ নয়, কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর জন্য এই হার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, রাহুলের ভোটার অধিকার যাত্রা যে ১১০ আসনকে ছুঁয়ে গিয়েছে সেখানে কোনও আসনে নির্বাচনের ফল তাঁর পার্টির পক্ষে নেই। এবার, বিহারে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পর্যালোচনা করতে বৈঠক ডাকলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। বৈঠকে উপস্থিত রাহুল।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার নির্বাচনে ভরাডুবির পরে শনিবারই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে নিজের বাসভবনে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডেকেছেন। পর্যালোচনা সভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এবং সিনিয়র নেতা অজয় মাকেন উপস্থিত ছিলেন। বিহারের ফলাফল ঘোষণার পরেই, কংগ্রেস ‘বিশাল মাত্রায় ভোট চুরি’কে এই ফলের জন্য দায়ী করেছে। এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে রাহুল লেখেন, দল এবং ইন্ডিয়া ব্লক এই পরাজয়ের একটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে এবং ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে আরও কার্যকর প্রচেষ্টা করবে’।
পাশাপাশি তিনি বিহারের ভোটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। যদিও, এরপরেও ফলাফলে নিজের হতাশা লুকাননি তিনি। তাঁর দাবি, শুরু থেকেই এই নির্বাচনে ভোট চুরির কারণে পিছিয়ে ছিল বিরোধীরা। একই কথা শোনা যায় খাড়গের গলায়। তিনি বলেন, মানুষের রায় মাথা পেতে নেবে কংগ্রেস। তিনি আরও বলেন, মানুষের রায় মেনে নিলেও যারা সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে তার বিরুদ্ধে লড়াই চলাবে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের পরাজয়ের পর্যালোচনার কথা স্বীকার করে খাড়গে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের ফলাফলের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করব এবং ফলাফলের কারণগুলি বোঝার চেষ্টা করব। বিহারের সেইসব ভোটারদের প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ যারা মহাগটবন্ধনকে সমর্থন করেছেন।’
বিহার নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেসের জন্য লজ্জাজনক। কংগ্রেসকে প্রায়ই আইএনডিআইএ ব্লকে ‘দুর্বল লিংক’ হিসেবে দেখা হয়। এমনকী রাহুল গান্ধীর বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগও সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে।