বাবাকে কিডনি দিয়েছিলেন, পরিবার ও দল দুই-ই ছাড়লেন সেই লালুকন্যা
প্রতিদিন | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা ভালো যাচ্ছে না লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের। একে তো বিহার নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিরোধী জোটের। যার মধ্যে লালুর দল আরজেডিও রয়েছে। এর মধ্যেই ভাঙন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের পরিবারেও! লালুকন্যা রোহিণী আচার্য জানিয়ে দিলেন তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন। পরিবারের সঙ্গও ত্যাগ করতে চলেছেন। এক্স হ্যান্ডলে এই ঘোষণা করেছেন তিনি।
কয়েকমাস আগেই নিজের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) থেকে বহিষ্কার করেন লালু। এবার দল ছাড়লেন তাঁর কন্যাও। কিন্তু কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত রোহিণীর? তিনি দায় চাপাচ্ছেন স্বামী রামিজ আলম ও ভাই তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সঞ্জয় যাদবের উপরে। তিনি লিখেছেন, ‘আমি রাজনীতি ছাড়ছি। এবং পরিবারও। সঞ্জয় যাদব ও রামিজ আমাকে এমনটাই করতে বলেছেন। সমস্ত দায় আমি নিচ্ছি।’
২০২২ সালের ডিসেম্বরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে লালুর কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়। বাবাকে কিডনি দিয়েছিলেন রোহিণীই। এমনটাই জানা যায়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে যাদব পরিবারের চতুর্থ সন্তান হিসেবে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেন রোহিণী। যদিও সেই সূচনা সুখকর হয়নি। বিহারের সারন লোকসভা কেন্দ্র থেকে আরজেডির টিকিটে ভোটে দাঁড়ালেও হারতে হয়েছিল। এবার রাজনীতিকেই ‘টা টা’ করলেন লালুকন্যা।
তবে রোহিণীর এমন সিদ্ধান্ত আকস্মিক নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাটল অনেকদিন আগেই ধরে গিয়েছিল। কয়েক মাস আগে থেকেই রোহিণীর সঙ্গে দল এবং পরিবারের ফাটল ইতিমধ্যেই চওড়া হয়েছিল। নিজের বাবা, ভাই তেজস্বী যাদব-সহ দলের এক্স হ্যান্ডলকে ‘আনফলো’ করে দেন লালুকন্যা। পাশাপাশি, পরিবারের দিকে ছুড়েছিলেন কটাক্ষও।
এদিকে তিনি বাবাকে কিডনি আদৌ দিয়েছিলেন কিনা তা নিয়েও বিতর্ক বাঁধে। যে প্রসঙ্গে ক্ষুদ্ধ রোহিণীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “যাঁরা প্রমাণ ছাড়াই এই ধরনের অভিযোগ আনছেন, তাঁদের প্রকাশ্যে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রত্যেক মা-বোন-কন্যার কাছেও। মহিলাদের বিরুদ্ধে এধরনের মানহানিকর বা মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো কাম্য নয়।”