SIR গেরো! ১৭৪ আসনে এনডিএ-র জয়ের ব্যবধান বাতিল ভোটারের চেয়ে কম
প্রতিদিন | ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল বিরোধীদের। এসআইআর পরবর্তী বিহার নির্বাচনে কার্যত গোহারা হেরেছে বিরোধী শিবির। ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, বিজেপি ও নীতীশ কুমারের জোট বিহারে ২৪৩ আসনের মধ্যে পেয়েছে ২০২টি আসন। নির্বাচনী ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, বিহারের ১৭৪টি আসনে এনডিএ-র জয়ের ব্যবধান এসআইআরে বাদ পড়া ভোটারের তুলনায় কম। এছাড়া ৯১ টি আসনে ২০২০ সালের পর বদলে গিয়েছে রাজনৈতিক অবস্থান। যার মধ্যে ৭৫টি আসনে জিতেছে এনডিএ। ১৫টি আসন পেয়েছে মহাজোট।
যে সব আসনে এনডিএ জিতেছে তার বেশিরভাগ আসনেই ভোটের ব্যবধান অল্প। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসআইআরে বাদ পড়া ভোটারের তুলনায় জয়ের ব্যবধান অনেক কম। যেমন মুজফফরপুরের কুরহানি কেন্দ্র। ২০২০ সালে এখানে ক্ষমতায় ছিল আরজেডি, এবার জয়ী হয়েছে বিজেপি। জয়ের ব্যবধান ৬১৬। এখানে বাদ পড়া ভোটারের সংখ্যা ২৪০০০-এর বেশি। পাশাপাশি রয়েছে ভোজপুরের সন্দেশ কেন্দ্র। এখানে মাত্র ২৭ ভোটে জয়ী হয়েছে জেডিইউ। এখানে এসআইআরে বাদ পড়া ভোটারের সংখ্যা ২৫,৬৮২।
রিপোর্ট বলছে, যে ৯১টি আসনে রদবদল হয়েছে তার মধ্যে ৭৫টি আসন জিতেছে এনডিএ। মহাজোট পেয়েছে ১৫টি ও অন্যান্য ১টি। দেখা যাচ্ছে, যে আসনগুলিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ভোটার বাদ পড়েছে তার বেশিরভাগ আসনই এনডিএ-র দিকে গিয়েছে। বিহার নির্বাচনে এনডিএ জয়ী হলেও রিপোর্ট বলছে, ভোট শতাংশের হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে আরজেডি। লালুপ্রসাদের দল যেখানে ২৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেখানে বিজেপি পেয়েছে ২০ শতাংশ ভোট, জেডিইউ পেয়েছে ১৯.২৫ শতাংশ ভোট, কংগ্রেস পেয়েছে ৮.৭১ শতাংশ ভোট।
উল্লেখ্য, বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে এসআইআর ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। যার উদ্দেশ্য ছিল, নকল ও মৃত ভোটারদের নাম ছেঁটে ফেলা। এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি বিহারে। বিরোধীদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, বহু জেলায় অস্বাভাবিকভাবে ভোটারদের বাদ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে প্রান্তিক ও দুর্বল ভোটারদের তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। যদিও কোনও রিপোর্টই এমন দাবি করেনি যে ভোটার বাদ যাওয়ার কারণে নির্বাচনের ফল এসআইআরের দিকে গিয়েছে।