অর্ণব দাস, বারাকপুর: এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপের নামে ফোনে ওটিপি পাঠিয়ে প্রতারণার ছক! সন্দেহ হতেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আটজনকে আটক করল পুলিশ। কেন ফর্ম ফিলআপের নামে ফোনে ওটিপি পাঠানো হচ্ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর পিছনে কোনও প্রতারণার ছক নাকি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল তা জানতে ইতিমধ্যে আটজনকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আটজন দিল্লি থেকে এসেছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের কদম্বগাছির হেমন্ত বসু এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় একেবারে ব্যানার টাঙিয়ে ক্যাম্প করে চলছিল এসআইআর ফর্ম ফিলাপ। আর তা করতে স্বভাবতই ভিড় জমান বহু মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, লোকবন্ধু পার্টির নামে ব্যানার ঝুলিয়ে চলছিল সেই কাজ। ফর্ম ফিলআপের সঙ্গে সঙ্গে ফোনে ওটিপি পাঠানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। অনলাইনে ওটিপি প্রয়োজন হলেও অফলাইনে ফর্ম ফিলআপে তা প্রয়োজন নয়। সেখানেই সন্দেহ তৈরি হয় স্থানীয় মানুষজনের। কেন ওটিপি পাঠানো হচ্ছিল সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সদস্যরা জানান, রেকর্ড রাখতেই নাকি ওটিপি পাঠাচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা, অর্পিতা মাইতি বলেন, ”ওরা ভোটার আইডি থেকে ওটিপি নম্বর নিচ্ছিল। আমার এক আত্মীয় তা দিয়েও দিয়েছে। কিন্তু সন্দেহ হতেই আমি ছুটে আসি।” বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করতেই তেমন কোনও উত্তর তাঁরা দিতে পারছিল। তাতেই সন্দেহ তীব্র হয়। অর্পিতা মাইতির মতো স্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন এভাবে ফর্ম ফিলআপের নামে ওটিপি দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হতেই পুলিশ দিল্লি থেকে আসা লোকবন্ধু পার্টির আটজন সদস্যকে আটক করে। কেন দিল্লি থেকে এসে এভাবে ওটিপি পাঠিয়ে এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করা হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। এসআইআর ফর্ম ফিলআপের নামে লোকবন্ধু পার্টিতে সদস্য সংগ্রহের কাজ চলছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।